নিয়োগপত্র ও খাবার ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
তবে শনিবার সকালে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নৌযান ছেড়ে গেছে।
লঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌ পুলিশের সহায়তায় নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মালিক সমিতি জানিয়েছে: তারা এই ধর্মঘটের বিপক্ষে। কিছু শ্রমিককেও লঞ্চ ছাড়ার পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
তবে ধর্মঘট ডাকা শ্রমিকদের সদরঘাট টার্মিনালে দেখা যায়নি।
নারায়ণগঞ্জ
বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জে ধর্মঘট পালন করছেন নৌ-যান শ্রমিকরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শুক্রবার দিবাগত রাত বারোটা থেকে নৌ-যান শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৭টি রুটে ৭০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকলেও শনিবার নৌ-যান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই গুটিকয়েক লঞ্চ চলাচল করতে দেখা যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
দীর্ঘসময় ধরে লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে দূরপাল্লার অনেক যাত্রীকেই। পাশাপাশি হাতে গোনা দু’একটি বালুবাহী বাল্কহেড চলতে দেখা গেলেও অধিকাংশ বাল্কহেড ও তেলের ট্যাংকারসহ সহস্রাধিক পণ্যবাহি নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি দিয়ে নগরীর পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন নৌ-যান শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, মালিকপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও দাবি না মেনে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। এবার দাবি না মানা পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোন আশ্বাসেই শ্রমিকরা পিছ পা হবে না বলে হুঁশয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা।
খুলনা
কর্মবিরতি পালন করছে খুলনার নৌযান শ্রমিকরা। এই কর্মবিরতির কারণে খুলনার অভ্যন্তরীণ রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে নৌ পথে যাত্রী সেবার সঙ্গে পণ্য পরিবহন সেবাও।
দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল করছেন শ্রমিকরা। আন্দোলনরতরা বলছেন, এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যহত থাকবে।