ফৌজদারি মামলায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দী ৮ জনকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
আদালত আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন এবং মামলা সংক্রান্ত বিচারিক আদালতের নথিও তলব করা হয়েছে।
সিলেট, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জের কারাগারে থাকা ৮ বন্দীর বিষয়টি সোমবার আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
কারাবন্দী ৮ জন হলেন: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার সদর থানার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হকের ছেলে সাব্বির আহমেদ ওরফে দুলাল (৪৫), মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার দক্ষিণ পাউসার গ্রামের বশির উদ্দিনের ছেলে মো. জালাল (৫১),নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ছৈনপাড়ার বাসিন্দা জাহেদ আলীর ছেলে সাজু মিয়া (৪৫), কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার পশ্চিম টেংগুরী গ্রামের বাসিন্দা নেকবর আলীর ছেলে মো. তকদীর মিয়া (৩৫), বাগেরহাটের মহেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে অসীম হালদার, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দোহার গ্রামের বাসিন্দা ছিফাত উল্লাহ সরদারের ছেলে আসাদুল ওরফে আছা, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নবীনগর থানার চরলাপাংয়ের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. দানা মিয়া (৫৫),সিলেটের গোপালগঞ্জ থানার বাদে পাশা গ্রামের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল আলম ওরফে বেলাল।
তারা হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে বন্দী আছেন।