গত বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির সময় একশ দিনের পেট্রোল বোমা, আগুন, ভাংচুরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দেশ। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলেও অন্ধকার কাটেনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন থেকে।
বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তির সময় সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ার পর অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি দেয় বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট। আগুন-পেট্রল বোমায় সারা দেশে প্রাণ হারান ৬ মাসের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধসহ দেড় শ’র বেশি মানুষ।
সরকারি হিসাবে একশ দিনের হরতাল-অবরোধে হামলা-সহিংসতায় আহত হন কমপক্ষে দু’হাজার মানুষ। আড়াই হাজারের বেশি গাড়িতে ছোড়া হয় পেট্রোল বোমা। সহিংসতা ঠেকাতে গিয়ে পুলিশসহ আহত হন আরো হাজার খানেক। আঘাত বা পোড়া শরীর নিয়ে এখনও শারীরিক-মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অনেকে।
রামপুরার বোনের বাসা থেকে বাসে দক্ষিণ বাড্ডার বাসায় ফিরছিলেন দুই বোন এলএলএম পড়ুয়া কুন্তলা শিকদার এবং অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী টুম্মা। পেট্রোল বোমায় শরীরের বেশিরভাগই পুড়ে যায় তাদের। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে অজানা ভবিষ্যতের দিকে কুন্তলা ও টুম্পার মা।
কক্সবাজার থেকে সপরিবারে যশোরে নিজের বাড়ি যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান। বোমায় একই গাড়ির ৭ যাত্রীর মধ্যে মেয়ে এবং স্বামীকে পুড়ে ছাই হতে দেখে আফরোজা পারভীন এখন মানসিক ভারসাম্যহীন।
দুঃসহ সেই দিনগুলোর এই সাক্ষীরা বলছেন, মানুষের জীবন ধ্বংস করা কোনো রাজনৈতিক তৎপরতা যাতে আর কোনোদিন ফিরে না আসে।