শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে ভুঁড়ি কাণ্ড থামছেই না। ক্রিকেটারদের ভুঁড়ি-ফিটনেস নিয়ে মন্ত্রী আক্রমণাত্মক মন্তব্য করছেন তো পাল্টা অতি-আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হচ্ছেন। তাতে ক্রিকেটারদের মুখে যখন তালা, পরক্ষণেই আবার সেটার সুবিধা নিচ্ছেন মন্ত্রী। বলছেন, ‘হয় ভুঁড়ি কমাও, নয়তো ক্রিকেট ছাড়ো।’
ক্রীড়ামন্ত্রীর ফিটনেস ইস্যুর মন্তব্যের জেরে তাকে বাঁদর বলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দেশটির সরকারের কাছ থেকে কঠিন হুঁশিয়ারি পেয়েছেন দেশটির ক্রিকেটাররা। নিজেদের ফিটনেস নিয়ে সচেতন হতে বলা হয়েছে তাদের, নইলে ছিটকে যেতে হবে দল থেকে!
সাধারণত একজন ক্রিকেটারের গড়পড়তা চর্বি থাকে দেহের ১৬ শতাংশ, কিন্তু লঙ্কান ক্রিকেটারদের গায়ে নাকি ২৬ শতাংশ ভুঁড়ি! লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী দাইয়াশ্রী জয়শেখরের দাবি এমনটাই। বুধবার তাই লঙ্কানদের বেশ কঠোর হুমকি দিলেন জয়শেখর, ‘কারও স্বাস্থ্যই সন্তুষ্টির পর্যায়ে ছিল না, কোন কালেই। এবার আমি ব্যতিক্রম কিছু করে দেখাতে চাই।’
এই জয়শেখরকেই বাঁদর বলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন মালিঙ্গা। সঙ্গে কেটে নেয়া হবে এই পেসারের পরবর্তী ওয়ানডে থেকে ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফিও। ক্রীড়ামন্ত্রী জয়শেখর যখন বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা বেশি মোটা হয়ে গেছে। তাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালের আগে বাদ পড়েছে।’ তখনই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন মালিঙ্গা।
মালিঙ্গা মনে করেছিলেন তাকে উদ্দেশ্য করেই এই কথা বলা। তাই তিনিও পাল্টা জবাব ছুড়েছিলেন, ‘যারা শুধু চেয়ার গরম করতে জানে, আমি তাদের সমালোচনা পাত্তা দেই না,’ মন্তব্য করে মালিঙ্গা বলেন, ‘তোতাপাখি কীভাবে বাসা তৈরি করে তা একটা বানর কীভাবে বুঝবে? ব্যাপারটা এমন যে একটা বানর তোতাপাখির বাসায় ঢুকে সে বিষয়ে কথা বলছে।’
পরে জল অনেকদূর গড়ায়। মালিঙ্গার মুখ থেকে এমন কথা শুনে বোর্ড ক্ষেপে যায়। তদন্ত কমিটি গঠন করে মালিঙ্গাকে তলব করা হয়। মালিঙ্গা নিজের ‘ভুল’ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যেই যা শাস্তি পাওয়ার পেয়ে গেছেন তিনি। এবার মন্ত্রী যখন আবারো ফিটনেস ইস্যুতে মাঠ গরম করছেন, তখন ক্রিকেটাররা নিষেধাজ্ঞার ভয়ে আর কথাই বলতে পারছেন না।