হ্যাটট্রিক করে ম্যাচ জয়ের নায়ক হয়েও ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হতে পারলেন না জাহিদ হোসেন। পুরস্কারের ৫শ ডলার জাহিদের হাতে নয়, গেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান রিক্রুট এলিটা কিংসলের হাতে।
অথচ ১৩ মিনিটের সময় কিংসলে যে গোলটি করেছেন তাও জাহিদেরই ‘এ্যসিস্ট’ করা। আর ম্যাচের ৯, ৩৩ এবং ৮৩ মিনিটে নিজে তিন গোল করে হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন জাতীয় দলের এই তারকা উইঙ্গার।
শুধু হ্যাটট্রিক করেই নয় এদিন পুরোটা সময়ই জাহিদ যেন ঠিক জাহিদের মতোই খেললেন। তার স্বভাবসুলভ গতিময় ফুটবলে মুগ্ধ করলেন গোটা স্টেডিয়াম। কিন্তু ম্যাচ এ্যাডজুটেন্টদের কেনো যেনো মনে হলো জাহিদ নয় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় এলিটা কিংসলে। তাকেই ডাকা হলো ৫শ ডলার নিয়ে যেতে।
এডজুটেন্টদের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক এমএ আজিজের দর্শকরা। হতবাক জাহিদ নিজেও। সাংবাদিকদের তিনি জানান, হ্যাটট্রিক করার চেয়ে বেশি আনন্দ লাগছে নিজের দলের জয়ে অবদান রাখতে পারায়। তাই আশা করেছিলাম ম্যাচসেরার পুরস্কারটা হয়তো আমারই হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কেনো এমন হলো বুঝতে পারছি না।
খেলা শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার ঘোষণার সময় জাহিদের নাম না বলায় ক্ষুব্ধ হন সমর্থকরা।
তারা বলেন, এটা জাহিদের প্রতি অবিচার করা হলো। পুরো ম্যাচে ৭ নম্বর জার্সির জাহিদই ছিলেন সবচেয়ে বেশি উজ্জল। নিজের ৩টি গোল ছাড়াও কিংসলের গোলটা জাহিদেরই বানিয়ে দেওয়া। তাই এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় জাহিদ হোসেন।
চট্টগ্রামে চলমান শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচন করার জন্য টুর্নামেন্ট কমিটি ৫ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক মিডফিল্ডার নুরুল হক মানিক। জাহিদের বিষয়টি জানতে চাইলে তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
শনিবার জাহিদের হ্যাটট্রিকে পাকিস্তানের করাচি ইলেকট্রিক ক্লাবকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের সেমিফাইনালে উঠে জাহিদের দল চট্টগ্রাম আবাহনী।