শেষবারের মতো হোয়াইট হাউজ ছেড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায়ের আগে প্রায় দেড়শ’ বন্দিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ক্ষমা করেছেন তিনি।
বাইডেনের শপথের আগেই বুধবার সকালে হেলিকপ্টারযোগে ট্রাম্প ও মেলানিয়া হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করেন। তারা হোয়াইট হাউজ থেকে ফ্লোরিডায় গিয়েছেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।
হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করার আগে সংক্ষিপ্ত এক সম্মেলনে হোয়াইট হাউজকে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বাসস্থান বলে উল্লেখ্য করেছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে কাটানো চার বছরকে স্মরণীয় বলেও উল্লেখ্য করেছেন তিনি।
বিদায়ী সম্ভাষণে তার পাশে থাকার জন্য পরিবার ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্প। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার নতুন করে ট্যাক্স বৃদ্ধি করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাকে।
বিদায়ী ভাষণে নিজেকে আবারও একজন যোদ্ধা বলে দাবি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা যা করতে এসেছিলাম, তা করেছি। বরং আরও বেশি করেছি।
সংবর্ধনা শেষে এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে চড়ে মিয়ামি পাম বিচের মার-আ-লাগো রিসোর্টে যাবেন ট্রাম্প, সেখানেই শুরু হবে তার প্রেসিডেন্টকালীন পরবর্তী জীবন।
ট্রাম্পের বিদায়কালীন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে থাকবেন না তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এর বদলে বুধবার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মাইক পেন্স।
এর আগে ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের মেয়াদ শেষের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে ব্যাপক দাঙ্গা হয়। যেখানে তার সমর্থকরা ছিল মূল আক্রমণে৷ মূলত ট্রাম্পের আহ্বানেই তারা কংগ্রেস ভবন অভিমুখী যাত্রা করেছিল।
গত ৩ নভেম্বর নির্বাচনী ফল পাল্টে দিতে তিনি শুরু থেকে নানা চেষ্টা চালিয়েছেন৷ কিন্তু তার চেষ্টায় নিজের নয় শুধু আমেরিকার গণতান্ত্রিক ইতিহাসেও কলঙ্কের দাগ পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে থাকেন। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি ট্রাম্পের। তাই কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হলো তাকে।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিবেন ডেমোক্র্যাট দলীয় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।