দেশি-বিদেশি জাতের কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ঝিনাইদহের তরুণ
মেহেদী হাসান। পাগলাকানাইয়ে বাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন কবুতরের খামার।
ফেসবুকে কবুতরের তথ্য ও ছবি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ব্যবসায়ীদের।
পাঁচ বছর আগে ঢাকার কাঁটাবন থেকে একজোড়া বিদেশি কিং জাতের কবুতর কিনে আনেন মেহেদী হাসান। এরপর আস্তে আস্তে তার খামারে বাড়তে থাকে কবুতরের সংখ্যা। বর্তমানে খামার থেকে প্রতি মাসে তার আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
মেহেদী হাসান বলেন, আমার খামারে এখন ৭০ থেকে ৭৫ জোড়া পায়রা আছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে আমার এখান থেকে পায়রা কিনে নিয়ে যায়।
মেহেদী হাসানের খামারে রয়েছে ইয়েলো বোখরা, ম্যাডোনা, ব্লু-কিং, ম্যাগপাই, আওল, বিউটি হুমার, সিরাজী, হোয়াইট কিং, সাটিং, শ্যালো, নানপারভিন, অস্ট্রেলিয়ান কিং, মুম্বাই, লোটন এবং দেশী প্রজাতির সোয়াচন্দনসহ ৪০ থেকে ৪৫ প্রজাতির কবুতর।
উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কবুতর পালনে তাকে সহযোগিতা করছেন একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। জোহান এগ্রো লিমিটেডের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়িকভাবে-আর্থিকভাবে সফলতা অর্জন করার পাশাপাশি আমাদের সৌখিনতা পূরণ করছেন মেহেদি।
প্রায় প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা মেহেদী হাসানের বাড়িতে আসছেন কবুতর কিনতে।