চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হোসেনী দালান হামলায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা

রাজধানীর হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলার ত্রিশ ঘন্টা পর অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করেছে পুলিশ। হামলাকারীদেরকে ইসলামের শত্রু বলেছেন শিয়া নেতারা। হামলার জন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়ী বলে ধারণা পুলিশের।

শুক্রবার রাতে হোসেনী দালান চত্বরে গ্রেনেড হামলায় হতাহতের ঘটনার এক দিন পর সেখানে আলামত খোঁজেন ছায়া তদন্তকারী র‌্যাবের কর্মকর্তারা। গোরস্থানের ভেতর থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করে দশম ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, তাদের ধারণা কবরস্থানের ভেতর থেকে একাধিক গ্রেনেড ছোড়া হয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে কিছু সন্দেহজনক চলাফেরা দেখা গেছে। সেখান থেকে হয়তো কিছু পাওয়া যেতে পারে; আবার না-ও পাওয়া যেতে পারে।

গ্রেনেড হামলা ঘটনার জন্য সরাসরি কোনো মহলকে দায়ী করেননি শিয়া নেতারা। হোসেনী দালান ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এমএম ফিরোজ হোসাইন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কারো কোনো বিদ্বেষ ছিলো না। কোনো ধরণের মতভেদ ছিলো না।’

ফিরোজ হোসাইন বলেন, হামলাকারীরা নিশ্চয়ই ইসলামের শত্রু, উগ্রবাদী। এরা কখনো দেশের শান্তি চায় না। কাজটি কারা করেছে তা তদন্তসাপেক্ষে বের হবে বলে আশা করেন তিনি।

গ্রেনেড হামলার সময় হোসেনী দালানের গেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সাব ইন্সপেক্টর ফিরোজ হোসেন। সকালে ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় দায়ের করা মামলার বাদী হন তিনি। মামলায় নিহত পরিবার সদস্যদের সাক্ষী করা হবে জানিয়েছেন তদন্ত তদারককারীরা।

লালবাগ অপরাধ বিভাগের ডিসি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, এখনো নির্দিষ্ট কোনো নাম না পেলেও পুলিশ ধারণা করছে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সংগৃহীত আলামত এবং ক্লু ধরে এগোনো হচ্ছে। এছাড়াও আহত এবং প্রত্যক্ষদর্শীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

হামলা ঘটনার পর পরই আটক ৩ জনকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দারা।