চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হোসেনী দালানে বোমা হামলায় নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় পুরান ঢাকার হোসেনী দালানে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা পরপর ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন। আহত প্রায় অর্ধশত। দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী গ্রেনেডগুলোর সঙ্গে জেএমবি’র ব্যবহৃত গ্রেনেডের মিল রয়েছে বলে জানায় পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।

রাত দুইটায় পুরান ঢাকার হোসেনী দালানের এই জায়গা থেকেই তাজিয়া মিছিল বের হবার কথা ছিলো। চলছিল তারই প্রস্তুতি। রাত আনুমানিক পৌণে দুইটায় হঠাৎই যেন কারবালার প্রান্তরে পরিণত হয় শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র স্থান ইমাম বাড়া। একে একে নিক্ষেপ করা হয় শক্তিশালী ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সাজানো সবকিছু। রক্তে রঞ্জিত হয় পুরো এলাকা।

আহতদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বোমার আঘাতে রক্তাক্ত, ব্যথায় জর্জরিত, স্বজনের খোঁজ না পাওয়া মানুষের মাতমে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিবেশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম বোমাটি বিস্ফোরণের পরই চারিদিকে ছোপ ছোপ রক্ত দেখেন তারা। নিজেরাও রক্তাক্ত অবস্থায় বের হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। দৌড়ে বের হওয়ার সময় আরও বোমার বিস্ফোরণে আরও অনেকে আহত হন।

পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে এসে নিষ্ক্রিয় করে  আরো ২টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড।

ডিবির এডিসি সানোয়ার হোসেন জানান, বোমাগুলো দেশে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরকম বোমা জেএমবি’র কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো।

নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ নজরদারির মধ্যেই ঘটে এ নৃশংস ঘটনা। তবে নিরাপত্তায় কোোন ঘাটতি ছিল না বলে জানায় পুলিশের এক কমিশনার।

ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মারুফ হাসান জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিলো না। অপরাধীরা নানা ভাবে সুযোগ কাজে লাগায়।

হামলায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়।