টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে পুনঃগ্রেপ্তার দেখাতে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করেছে পল্লবী থানা পুলিশ।
এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতের অনুমতি চেয়েছে গুলশান থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাব বাদী হয়ে মামলাটি করে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়।
পল্লবী থানা ও র্যাব-৪ সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে র্যাব-৪ এর একজন ইন্সপেক্টর বাদী হয়ে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থানায় র্যাব বাদী হয়ে আরও দুটি মামলা করে। এর মধ্যে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে।
বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো মধ্যে মাদক আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইনের ধারা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে র্যারের গাড়িতে করে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হেলেনাকে আদালত তুলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে গুলশানে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতে অভিযান শুরু হয়। চার ঘণ্টার অভিযান শেষে তাকে আটক করে র্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয়। উদ্ধার করা হয় বিদেশি মদ, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, চাকু, ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন অবৈধ সরঞ্জাম।
এরপর রাত দেড়টা থেকে চারটা পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের এ ব্লকের তিন নম্বর রোডে জয়যাত্রা টেলিভিশনের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে বিভিন্ন অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।