চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে ১৭ বছরে চ্যানেল আই

হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে ১৭ বছরে পড়লো দেশের প্রথম ডিজিটাল বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল আই।  স্বর্ণালী  সতেরো শ্লোগানে ১৭ বছরে পদার্পণের প্রথম প্রহরে উৎসবে মাতেন ইমপ্রেস পরিবারের সদস্য এবং শুভানুধ্যায়ীরা।

চ্যানেল আইয়ের ১৭ বছরে পদার্পণে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক।

ঘড়ির কাঁটায় রাত বারোটা ১, শুরু হয় উৎসব। তেজগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে চ্যানেল আই ১৭ বছরে পদার্পণের প্রথম প্রহরেই আনন্দের বন্যা। জন্মদিনের কেক কাটার উৎসবে যোগ দেন চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সব সদস্য, তাদের পরিবার এবং শুভ্যানুধ্যায়ীরা।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লি. চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আমরা বলেছি স্বার্ণালী সতের। আমাদের সাথে সাথে পৃথিবীর সবাই যারা বাঙ্গালী, যারা চ্যানেল আইকে হৃদয়ে ধারণ করেন তারা সবাই বলেছেন তাদের হৃদয়ে সোনার মতো রয়ে গেছে চ্যানেল আই। আগামীতেও এটা থাকবে আমরা সেটাই আশা করি এবং বিশ্বাস করি।

তিনি আরো বলেন, আজকে এখানে যারা রয়েছেন তারা এবং যার অনুষ্ঠানের দর্শক তারা আমাদের শক্তি।

চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, আমাদের এ সময়টা ষোলটি বছর যে মসৃণ ছিল এ কথা বলা যাবে না। নানান চড়াই উৎরাইয়ের মাধ্যমে বাংলা গণমাধ্যমের বিকাশ হয়েছে। এখানে চ্যানেল আই একটি জায়গায় অবশ্যই আছে আপনাদের সহোযোগীতা এবং গণমানুষের ভালবাসার মধ্য দিয়ে।

তিনি আরো বলেন, একদিকে বিদেশী চ্যানেলগুলোর আগ্রাসন অন্যদিকে অসম বাজার ব্যবস্থাপনা। তার ভিতরে আবার নিজস্ব সাস্কৃতিকে ধরে রাখা কঠিন একটি কাজ। এ কাজটি ষোল বছরে পেরুতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছে।

চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, সিক্সটিন এখনো আমরা টিনে আছি। সেভেনটিন সুতারাং আমরা খুব বেশী বড় হইনি এখনো। আমাদের টিনেজ চলছে এবং আমরা ইনশাহ্আল্লাহ আপনাদের ভালবাসা নিয়ে আমাদের এ টিন পার হয়ে খুব শিগগিরই এডাল্ট হবো। আমাদের সবাইকে আমাদের এবং চ্যানেল আইয়ের পরিবারের সবাইকে আপনারা দোয়া করবেন; যেন আমরা সামনে আরো আপনাদের আরো নিয়ে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারি।

চ্যানেল আইয়ের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন বলেন, প্রায় এক লক্ষ ৪০ হাজার দুইশত ৫৬ ঘণ্টা আমরা পার করেছি আমাদের পরিশ্রমি কর্মীদের সকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে।

আর সাথে যারা ছিলেন যারা আমাদের প্রাণ দর্শক তাদের সহযোগিতা এবং তাদের বুদ্ধি পরামর্শের মধ্যে দিয়ে আমরা ষোল বছর অতিক্রম করেছি। আমরা আগামী দিনগুলোতেও এভাবে আপনাদের সাথেই থাকতে চাই, আপনাদের নিয়েই চলতে চাই।

১৯৯৯-এর ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে দেশপ্রেম, নিষ্ঠা আর গণমুখি চেতনায় কাজ করে অল্প সময়েই চ্যানেল আই পৌঁছে যায় মানুষের খুব কাছাকাছি। সতেরো বছরে পদার্পণের প্রথম প্রহরে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা। গণমুখি নানা অনুষ্ঠানেরর পাশাপাশি ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে সূচনা হয় আরেক অধ্যায়ের। চ্যানেল আই সংবাদের যাত্রা।

চ্যানেল আই-এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে সফল্য কামনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এটি আমার প্রিয় চ্যানেলের মধ্যে একটি এবং আমি আশা করবো আমাদের দেশের সাস্কৃতিক ঐতিহ্য আমাদের সংবাদের বস্তনিষ্টতা সবক্ষেত্রে চ্যানেল আই যে ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে সেটা নিয়ে তারা এগিয়ে যাবেন।

সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী এম মোর্শেদ খান বলেন, বিদেশী আগ্রাসনের ভিড়েও চ্যানেল আই একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আজকে আকাশে অবস্থান করছেন।

নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে এ বাংলাদেশের স্থান হোক এবং বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন থাকুক।

বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভিশন ছিল যে ভিশনটা আজকে আমরা লক্ষ করছি। সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রীতি এবং ভালবাসা জানাচ্ছি।

তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশকে ধারণ করে প্রগতির পক্ষে প্রযুক্তির পক্ষে তরুণদের পক্ষে চ্যানেল আই কথা বলছে এবং ভবিষ্যতেও বলবে চ্যানেল আইয়ের জন্য শুভেচ্ছা।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, চ্যানেল আইয়ের পরিবারে এবং যারা কর্মকর্তা আছেন সবাইকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে আমি ধন্যবাদ এবং মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম যে কয়টি ইলেকট্রনিক মিডিয়া দেশের জনগণের কাছে অত্যান্ত সুপ্রিয় হয়েছে তাদের মধ্যে চ্যানেল আই অন্যতম।

চ্যানেল আইয়ের সতের বছরে পদার্পণকে স্বাগত জানানোর এই উৎসব শুধু চ্যানেল আই প্রাঙ্গণেই নয়, দেশজুড়ে, সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের হৃদয় জুড়ে।

১৯৯৯ এর ১ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে দেশপ্রেম, নিষ্ঠা আর গণমুখি চেতনায় কাজ করে  অল্প সময়েই চ্যানেল আই পৌঁছে যায় মানুষের খুব কাছাকাছি।

সতেরো বছরে পদার্পণের প্রথম প্রহরে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা।