খুলনা ও রংপুরে চার্চের ফাদারসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি হুমকিদাতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরের দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকায় ক্যাথলিক চার্চের বিশপ রমেন বৈরাগী এবং ইন্টার চার্চ পাষ্টর এন্ড লিডার ফেলোশিপের নির্বাহী ও চার্চ অব গডেজ বাংলাদেশের রেভারেন্ড টমাস জয় সরকারকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
হুমকির পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দুই যাজক সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
টমাস জয় সরকার বলেন, ‘গতকাল দুপুরে একটা ফোন আসে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে পরিচয় পরে দেবো। আগে বলছি, আপনি বাইবেল পাঠের যে কাজটা করছেন সেটা ছেড়ে দেন। কিন্তু আমি বলি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এটা করবো। তখন বলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই দায়িত্ব না ছাড়লে আপনাকে ফেলে দেবো।’
দুই ধর্মযাজককে হত্যা হুমকির পর যাজকসহ খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোনাডাঙ্গা থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস বলেন, টমাস জয় সরকারের কাছ থেকে ঘটনা শোনার পর আমি উচ্চপদস্থদের বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি এখন তদন্ত অবস্থায় আছে। এর পেছনে কারা আছে আমরা দ্রুতই সেটা বের করে ফেলবো।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেলা সদরের উত্তরপাড়ার গনেশ রায়ের ছেলে অতুল রায়ের নামে সরকারি ডাকযোগে পাঠানো হাতে লেখা চিঠিতে রংপুরের ধাপ এলাকায় খ্রীস্টানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সংঘের ফাদার বার্নবাস-এর নামে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় ।
বার্নবাস বলেন, আমার নামে একটা চিঠি আসে। খুলে দেখি তাতে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমার সঙ্গে সেখানে আরো ১০ জনের নাম আছে। এদের মধ্যে ধর্মীয় প্রধান ও এনজিওর কর্মকর্তারা আছেন।
এ ধরনের হুমকিদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।