করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা আরও ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফেরত না এসে দেশটির নীতিমালা মেনে চলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তিনি দাবি করেন, এই পরিস্থিতিতে স্বচ্ছতা বজায় রেখেই বিশ্বকে তথ্য দিচ্ছে চীন।
এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি না করে দ্বিপাক্ষিকভাবে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
করোনা ভাইরাস, রোহিঙ্গা সঙ্কট ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে আলোচনার লক্ষ্যে ডিক্যাব টকের নিয়মিত আয়োজনে রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের ফিরে আসার বিষয়ে চীনের অনুমোদন নয়, কয়েকটি টেকনিক্যাল কারণে তাদের দেশে ফেরানো পিছিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, এর আগে ৩১২ জনকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে আনা হয়েছে। এখন তারা ফ্লাইট আর চীনে পাঠাতে চাচ্ছে না। আমরা বাণিজ্যিক ফ্লাইটে তাদেরকে আনার চেষ্টা করছি। তবে এই অবস্থায় তাদের দেশে ফেরত না আসতেই বলবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিযুক্ত চীনা নাগরিক এখনই ফিরতে না পারায় থমকে যেতে পারে বেশ কয়েকটি প্রকল্প। এই অবস্থায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের বিকল্প হিসেবে অন্য দেশে না যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
লি জিমিং বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত এক হাজার চীনা নাগরিক চীনে ফেরত গেছেন। তাদেরকে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই ব্যাহত হতে পারে এসব প্রকল্পের কাজ। এই বিষয়ে দুই দেশ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন ত্রিপক্ষীয় কমিটির মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানে কাজ করছে। আমরা মনে করি না আইসিজের বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে আসবে। তবে আসলে ভেটো দেবে না চীন। ’
লি জিমিং বলেন, আন্তর্জাতিক চাপে বেঁকে যেতে পারে মিয়ানমার। তাই শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিকভাবেই রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান হওয়া উচিত।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলায় মিয়ানমার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ মানছে কিনা সে বিষয়টি উঠবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এক্ষেত্রে স্থায়ী রাষ্ট্র হিসেবে চীন ভেটো দেবে না জানালেও দেশটির অবস্থান কী হবে তা পরিষ্কার করেননি তিনি।