বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে যে প্রাকৃতিক বনভূমিগুলোকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান তাদের মধ্যে অন্যতম। এই উদ্যানে দর্শনার্থীদের চিত্তবিনোদনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও নানা ধরণের কর্মকাণ্ড চলছে।
বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অতুলনীয়। এর একদিকে রয়েছে উঁচু নিচু পাহাড়ী বন। অন্যদিকে বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় অবস্থিত হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে।
এই উদ্যানের অন্যতম নান্দনিক আকর্ষণ পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনাধারা। এখানকার ছোট বড় টিলার গা বেয়ে বেড়ে ওঠা মিশ্র চিরসবুজ বনের বৃক্ষসমূহ বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ আবাসস্থল।
এখানকার উদ্ভিদরাজির কারণে টিকে আছে নানা রকম বন্যপ্রাণীর। কীটপতঙ্গ ও প্রজাপতিসহ এখানে টিকে আছে বেশ কিছু বিপন্ন প্রাণী। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের বিরুপ কর্মকাণ্ডে দিনদিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উদ্যানের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
এছাড়া অধিক মাত্রায় বনজ সম্পদ আহরণ ও বনভূমি উজাড় করার ফলেও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজননভূমি কমে যাচ্ছে। পর্যটকদের অসেচতন কর্মকাণ্ডের কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্যানের স্বাভাবিক পরিবেশ। ফলে উদ্যানের বেশকিছু প্রাণী এখন বিপন্ন। তাই এই উদ্যানের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজন কার্যকরী ব্যবস্থাপনা।