কর্ণাটকে হিজাব বিতর্কের রেশ এখনও চলছে। কর্নাটকের উদুপি এবং শিবমজ্ঞা জেলার ২ জন স্কুল শিক্ষার্থী হিজাব পরে প্রবেশ করতে না পারায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
এনডিটিভির সাক্ষাৎকারে উদুপির সরকারি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের আলাদা শ্রেণিকক্ষে বসানো হয়েছে।
তবে জেলা প্রশাসন জানায়, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। অন্য একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, শিক্ষকেরা সন্তানকে হিজাব না খোলায় পুলিশের হুমকি দিয়েছিল।
তিনি আরও জানান, এরকম পরিস্থিতি আগে কখনোই ছিলো না। আমাদের সন্তানদের আলাদা শ্রেণিকক্ষে বসানো হয় এবং গতকাল শিক্ষকেরা তাদের উপর চিৎকার চেঁচামেচিও করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা হিজাব পরেনি তাদের পাঠদান করা হয়েছে কিন্তু যারা পরেছে তাদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে বের করে দেয়া হয়।
একই স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, এই স্কুলেই তার মেয়ে গত ৩ বছর যাবৎ হিজাব পরেই পাঠদান নিয়েছে, ওই সময়ে কেউ কোনো অভিযোগ তুলেনি।
অথচ এখন তার মেয়ে শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরে যাওয়ার পর পুলিশের হুমকি দেয়ায় সে বাধ্য হয়ে হিজাব খুলে ফেলে।
একজন শিক্ষার্থী বলে, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে হিজাব খুলে পরীক্ষা দিতে বললে সে তাতে অস্বীকৃতি জানায়। তাকে বলা হয় যদি সে স্কুলের নিয়ম না মানে তবে তাকে পুলিশে দেয়া হবে।
হিজাব বিতর্কে এক সপ্তাহ স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর সোমবার নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
এই বিষয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, আমরা সঠিক সময় আসলেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবো।