অনলাইনে জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে নিজেদের নতুন অস্তিত্ব জানান দিতে চেয়েছিলো নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাহরীর। ডিবির জালে আটক পাঁচ নেতাসহ গ্রেফতার ৭ জঙ্গির কাছ থেকে এমন তথ্য জেনে বিস্মিত গোয়েন্দারা। রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় উস্কানি দিতেই ওই সম্মেলনের আয়োজন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
তারা বলেন, খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাহিনী ও প্রশাসনে নিজস্ব লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে তথাকথিত বিপ্লব ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে এগোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীর। শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার ও সাংগঠনিক তৎপরতা নিষিদ্ধ হওয়ার পরও গোপনে সম্প্রসারিত করা হচ্ছিলো হিজবুতের জঙ্গি নেটওয়ার্ক।
এরই অংশ হিসেবে অনলাইন সম্মেলন করার পর নেতা-কর্মীদের সনাক্ত করে অন্তত সাতজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় ডিবি।
ডিবির জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, অনলাইনে এরকম সম্মেলন বন্ধ করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়। সামান্য কারিগরি দক্ষতা দিয়েই এটি কাজ করা যায়।
আনসারুল্লাহ বাংলাটিম ব্লগার হত্যার মাধ্যমে একধরণের পরিচিতি পেয়ে গেছে, সেতুলনায় হিজবুত তাহরীর অনেকটা পিছিয়ে আছে বলে তারা এখন মিডিয়া, দেশবাসী, আর্ন্তজাতিক কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই সম্মেলন করেছিলো।
হিজবুতের নেটওয়ার্ক কতোটা শক্তিশালী রিমান্ডে তা জানার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত যাদেরকে সনাক্ত করেছি তাদের মধ্যে কোনো বাহিনীর লোক নেই। সনাক্তকারীদের মধ্যে একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
অনলাইনে হিজবুত তাহরীরের ওই রাজনৈতিক সম্মেলনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ জঙ্গিকে সনাক্ত করেছে ডিবি।