টাঙ্গাইলের নাগরপুর হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আনিসুজ্জামান বলেন, ‘নিহত গৃহবধূ লাভলী আক্তার (২৭) উপজেলার কোকাদাইর গ্রামের মো. চাঁন মিয়ার মেয়ে এবং বনগ্রাম গ্রামের আরান আলীর ছেলে লুৎফরের স্ত্রী। তারা তিন সন্তানের জনক-জননী। তাকে আজ বিষক্রিয়া জনিত চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী লুৎফর রহমান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়। পরে ওই স্বামী মরদেহ রেখেই পালিয়ে গেছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়।’
‘পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দিলে তা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘বিষ খাওয়া অবস্থায় লাভলী আক্তারকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি।’
নিহত লাভলীর ভাই ওমর ফারুক বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের জের ধরে তাকে প্রায়ই মারধোর করতো। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বিচার শালিসও হয়েছে। রোববার সকালে আমার বোন ফোন দিয়ে তাকে মারপিট করার কথা জানায় ও আমাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে বলে। আনতে যাওয়ার পথেই খবর পাই বোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার বোনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার। ঘটনার পর লুৎফর ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে গেছেন বলে জানান প্রতিবেশীরা।