দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এরমধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন।
এ নিয়ে দেশে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীই রাজধানীর বাসিন্দা। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৯ জন।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ কামরুল কিবরিয়ার সই করা নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন ২৫৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৭ জনে।
ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ১২০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৭ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ২৩৬ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯ হাজার ৯২৭ জন রোগী। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত রোগীর সংখ্যা এখন প্রায় অর্ধশত। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে একজনসহ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
তাদের মধ্যে রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে জুলাইয়ে ১২ জন, আগস্টে ৩৩ জন এবং ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত ৪৯ জনের মধ্যে রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ১৮ জন, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ২৭ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়।
জানা যায়, রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে দু’জন, ইবনে সিনা হাসপাতালে ছয়জন, স্কয়ার হাসপাতালে সাতজন, সেন্ট্রাল হাসপাতালে একজন, গ্রীন লাইফ হাসপাতালে একজন, ইউনাইটেড হাসপাতালে দুইজন, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে পাঁচজন, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল একজনের মৃত্যু হয়।