হারিকেন ফ্লোরেন্সের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এর ফলে ৫ লাখ ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগহীন হয়ে পড়েছে।
হারিকেনের কেন্দ্র নর্থ ক্যারোলাইনার রাইটসভিল বিচে ঘন্টায় ১৯০ কিলোমিটার গতিতে প্রবাহিত হয়।
বৃষ্টি ও সমুদ্রের জোয়ারে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নর্থ ক্যারোলাইনার একটি হোটেল থেকে বেশ কয়েকজন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার জন্য ১৭ লাখ মানুষের জন্য সতর্কতা জারি রয়েছে।
বিভিন্ন ছবিতে আশ্রয়কেন্দ্রের বারান্দায় কম্বল, বাতাসে ফোলানো যায় এমন ম্যাট্রেস ও বিছানা নিয়ে মানুষজনকে ভিড় করতে দেখা গেছে।
নর্থ ক্যারোলাইনার কিছু এলাকায় কয়েক ঘণ্টায় এক ফুটের মতো বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বলেও বিবিসি জানিয়েছে। সমুদ্রের পানির উচ্চতার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তীব্রতাও বাড়ছে।
বাতাসের বেগ আগের তুলনায় কিছুটা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্সের তীব্রতার মাত্রা ১-এ নামিয়ে আনলেও তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ের তীব্রতার কারণে ফ্লোরেন্স এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী বলেও হুশিয়ার করেছে তারা।