গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মেঘে ঢাকা আকাশের মত মুখ নিয়ে। বৃহস্পতিবার রাতের প্রকৃতি সত্যিই ছিল মেঘে ঢাকা। কিন্তু রাসেল মাহমুদ জিমি এদিন হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাজির। একটু আগেই যে চীন কাব্য লেখা হয়েছে। চীনের বিপক্ষে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে সেরা হয়েছেন বলে হয়ত হাসি আকর্ণ বিস্তৃত হয়েছে আরও। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন সদা হাসিমুখে। জানালেন, গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে বিশাল হারের পর কিছু করে দেখানোর তাগিদেই সর্বস্ব দিয়ে লড়েছে তার দল।
গ্রুপ পর্বে ১৭ গোলের বিপরীতে মাত্র একটি গোল করা বাংলাদেশকে চীনা খেলোয়াড়রা বেশ চাপেই রেখেছিল। হাতছানি দিচ্ছিল আরেকটি পরাজয়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ সাত মিনিটের ম্যাজিক। দুই গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরা। পরে টাইব্রেকে যাওয়া ম্যাচে জয় তুলে নেয়া।
অধিনায়ক জিমি জানালেন, চীনের বিপক্ষে ম্যাচটাতে কিছু করে দেখানোর তাগিদেই এভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। নিজেদের শেষ ম্যাচ মনে করে খেলেছেন বাংলাদেশ। যাতে হারাবার কিছু নেই। এতেই ফল ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছে তার দল।
‘দল ভাল খেললে কিছু না কিছু করেই দেখানো যায়। আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম, যদি ফিট থাকতে পারি আমরা ফিরে আসবোই। এসেছিও তাই। ম্যাচের আগে সবাই সবাইকে বলেছি আজকে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে খেলব। সেটাই করেছি। ম্যাচটাকে নিজেদের শেষ ভেবেই খেলেছি বলে হাল ছাড়িনি। তাতে ম্যাচের ফলটা নিজেদের করে নিতে পেরেছি।’
চীনের বিপক্ষে জয়টা বাংলাদেশকে দিয়েছে আরেকটি সুসংবাদ। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় বসতে যাওয়া একাদশ এশিয়া কাপে সরাসরি খেলতে পারবে বাংলাদেশ। সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে চলতি আসরের ষষ্ঠ স্থানও। শুক্রবার জাপানকে হারাতে পারলেই পঞ্চম হয়ে আসর শেষ করতে পারবে লাল-সবুজের দল।
তাই আত্মবিশ্বাস আর ফুরফুরে মেজাজে থেকেই জাপানের মোকাবেলা করার কথা জানিয়ে গেলেন জিমি। চীনের বিপক্ষে জয়ের আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগাতে চান র্যাঙ্কিংয়ে ১৭ ধাপ এগিয়ে থাকা জাপানের বিপক্ষে, ‘জাপানের বিপক্ষে আগের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও হেরে যাই আমরা। আশা করি পরের ম্যাচটাতে আমরা ওদের আর ছাড় দেব না।’