ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।
এরকমটাই হওয়ার কথা ছিলো। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দল বাংলাদেশকে সাবলীলভাবে হারাবে। হয়েছেও তাই। তবে বাংলাদেশ তার স্ট্যান্ডার্ডে যে খুব খারাপ খেলেছে তা নয়। বরং ঐতিহাসিক এই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সের কথা মনে রাখবে সবাই।
দশ বছর পর পার্থে খেললো অস্ট্রেলিয়া। ‘রোড টু রাশিয়া’র এই ম্যাচে একটু টগবগিয়ে ছিলো আগে থেকেই। সকারুদের মনে-প্রাণে ছিলো ধ্বংসাত্মক জয়। জয় তারা পেলো। কিন্তু ঠিক যেমনটা তারা চেয়েছিলো তার থেকে হয়তো আর একটু বেশিই ছিলো তাদের মনে। কারণ খেলার শুরুটা ছিলো বিধ্বংসী। সকারুরা তেড়ে এসেছিলো এবং খুব দ্রুতই দুটো গোল তারা পেয়ে যায়।
প্রথমার্ধে সে অর্থে বলতে গেলে বাংলাদেশ কোনোভাবেই মধ্যমাঠ অব্দি উঠে আসতে পারেনি। অনেক শংকা, অনেক ভয় কাজ করেছে। আর এই ভয় ছিলো পজেশন হারিয়ে ফেলার।
হলুদ জামা গায়ে অস্ট্রেলিয়াকে এদিন ব্রাজিল মনে হয়েছে। নিজেদের ছন্দপতন হয়নি একবারের জন্যও। ওয়ান-টু-ওয়ান খেলেছে, কখনো খেলা ওয়াইড-ওপেন করে খেলেছে, কখনো বড় বল দিয়েছে উইং-এ। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, একটির পর একটি নিখুঁত ক্রস ডি-বক্সে ফেলতে সক্ষম হয় তারা।
বাংলাদেশ যে বল পায় নি তা নয়। তবে সেটা খুবই কম। এটা আস্থার অভাব। আর আস্থার অভাব তখনই দেখা যায়, যখন পায়ে বল থাকে না।
অস্ট্রেলিয়ানদের ছোট ভুলগুলোর মাশুল হতে পারতো কাউন্টার-অ্যাটাক। তা হয়নি। কারণ বল পায়ে নিয়ে কে কাকে দেবে, তা নিয়ে একটা তাড়াহুড়া কাজ করেছে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের ভেতর।
আর যেহেতু সবাই নীচে নেমে খেলছিলো, তাই দূর থেকে দেখতে অনেকটা ক্লাস্টার (এক জায়গায় জড়ো) মনে হচ্ছিলো। কীরকম একটা ভয় কাজ করেছে সবার মাঝে, তা স্পষ্টই বোঝা গেছে।
এত বড় মঞ্চে খেলার কম অভিজ্ঞতা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। যদি নিয়মিতভাবে এই দলটি আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলো খেলার সুযোগ পায়, নিশ্চিত যে এই দলটি অনেকেরই নজর কাড়বে।
গোলরক্ষক শহীদুলের কিপিং ছিলো অসম্ভব প্রশংসনীয়। এনআইবি স্টেডিয়ামের ১৯ হাজার ৪শ’ ৯৫ জন দর্শক’ও মানবে সে কথা।
বিশ্বের ১৭৩ তম দল হয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বকাপ খেলা একটা দলের বিরুদ্ধে যে কিছুটা উঠে এসে খেলেছে সেটা’ও বা কম কি! সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতার বিচারে ৫-০ ব্যবধানের এই হার ততটা মন্দ নয়।
লাল-সবুজের খেলোয়াড়েরা এরকম বড় আসরে এইতো প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা পেলো।
টিম কাহিল-এর মতো খেলোয়াড়দের সাথে এক মাঠ ভাগ করে নেয়া কম বড় অভিজ্ঞতা নয়। ঐতিহাসিক এই ম্যাচের অংশ হতে পেরেছে পার্থে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও।
সারা বিশ্বের সব কোণাতেই বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীরাও আজকের দিনটিকে ফুটবল ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন বলেই মনে রাখবে।
বিশ্বকাপ বাছাই-এ বাংলাদেশের পরবর্তী খেলা ৮ সেপ্টেম্বর ঘরের মাঠে জর্ডানের বিপক্ষে।