‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল্’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’,‘ যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’সহ এমন অনেক চিরসবুজ গান উপহার দিয়েছেন শিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। কয়েক বছর হলো তিনি এড়িয়ে চলছেন মিডিয়া। গান থেকে নিয়েছেন অবসর। মন দিয়েছেন সংসার ও ধর্মকর্মে। স্বামী মেজর (অব.) রহমতুল্লাহর সঙ্গে ওমরা করে এসেছেন। গান থেকে অবসর নিলেও একটি হামদ ও নাতের অ্যালবাম করার কথা জানালেন চ্যানেল আই অনলাইনকে। আজ রোববার সন্ধ্যায় ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতায় অতিথি বিচারক ছিলেন তিনি। অনুস্ঠানটি ধারন করা হয় চ্যানেল আই ভবনের স্টুডিওতে।
শাহনাজ রহমতুল্লাহ বলেন, ‘কয়েক বছর আগে ওমরাহ করে গান থেকে অবসর নিয়েছি। এরপর আর মিডিয়ার সামনে আসিনি। ধর্মকর্ম ও সংসারে মনযোগী হওয়ার চেষ্টা করছি। তবে চ্যানেল আইয়ের এই অনুষ্ঠানে এলে আমাকে আর গাইতে হবে না, শুধু বিচারক হতেই এসেছি।’
গান থেকে অবসর নিলেও একটি হামদ ও নাতের অ্যালবাম করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেন, ‘পাঁচ–ছয়টি ভালো গান নিয়ে একটি হামদ নাতের অ্যালবাম করার পরিকল্পনা আছে।’
আজ সন্ধ্যায় রিয়েলিটি শো ‘ক্ষুদে গানরাজ’ প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালের অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এর প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট নজরুলসংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা এবং ব্যান্ড তারকা এস আই টুটুল। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছেন মীম চৌধুরী,
প্রতিযোগিতা ও প্রতিযোগিতা নিয়ে তৈরি অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনা করছেন ইজাজ খান স্বপন। তিনি বলেন, ‘আজকের পর্বটি অংশগ্রহণকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের প্রাপ্ত নম্বরের উপর নির্ধারিত হবে কে বিজয়ী হবে। শাহনাজ রহমতুল্লাহ সংগীতজগতের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। ২০টি গানের মধ্যে তার গাওয়া চারটি গান বিবিসির সর্বকালের সেরা বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। গান ছেড়ে দেওয়ায় তাকে আর দেখা যায় না। যেহেতু গানে দেখা যায় না, তাই বিচারক হিসেবেই তার ভক্তদের সামনে হাজির করেছি আমরা।’
‘ক্ষুদে গানরাজ’ নিয়মিত প্রচার হচ্ছে চ্যানেল আইতে।