২০১৪’র বাংলাদেশ। ২০১৮’র শ্রীলঙ্কা। দলদুটিকে সময় মিলিয়ে দিয়েছে একবিন্দুতে। মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক হাথুরুসিংহে। হারের বৃত্তে ঘুরপাক করতে থাকা সেই বাংলাদেশকে যিনি বানিয়েছেন ক্রিকেটবিশ্বের নতুন ‘পরাশক্তি’। এবার তার চ্যালেঞ্জ জন্মভূমিকে পথ দেখানোর।
হাথুরু বাংলাদেশে আসার পর থেকে তাকে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের তুমুল আগ্রহ ছিল। কয়েকদিন পার হতেই সেই আগ্রহে ভাটার টান। মঙ্গলবারের অনুশীলনই তার প্রমাণ।
আগে মাশরাফী-মুশফিককে নিয়ে ম্যাচের আগে হাথুরুসিংহে মিরপুরের উইকেটে গেলেই ক্যামেরা সেদিকে ঘুরে যেত। হাথুরু এদিনও সেই ২২ গজে গেলেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। সঙ্গে শ্রীলঙ্কান কোচিং স্টাফদের সবাই। ছবিটা ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করলেন না কেউ। কারণ তিনি তো পর হয়েছেন সেই কবে! দিনকে দিন তাকে প্রতিবেশী দেশের কোচ হিসেবেই ভাবতে শুরু করে দিয়েছে সবাই।
বুধবার মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে। ম্যাচটি ঘিরে বাংলাদেশের মাথাব্যথা না থেকেও আছে। বাংলাদেশের সাবেক কোচের অধীনে কেমন করে শ্রীলঙ্কা সেটি দেখার জন্য নিশ্চয়ই টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখবেন মাশরাফীরা।
হাথুরুসিংহের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ বৈচিত্র্যময়। একটা সময় এই শ্রীলঙ্কা দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব ছেড়ে ‘অভিমানে’ পাড়ি জমিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানে রাজ্য দলের দায়িত্ব নেন। তারপর বাংলাদেশে।
বাংলাদেশে কড়া হেডমাস্টার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন হাথুরু। চুন থেকে পান খসলেই করতেন মাথা গরম। চলে যাওয়ায় নির্ভার বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। তার অধীনে শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটাররা কেমন বোধ করছেন? অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের উত্তর, ‘আমরা চাপমুক্ত আছি।’
হাথুরুর চাওয়াতেই লঙ্কান অধিনায়ক হয়ে ফিরেছেন এই ম্যাথুজ। খর্ব শক্তির জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ (৩-২) হারের কারণে ম্যাথুজকে সরিয়ে দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। সম্প্রতি ভারত সফরেও তারা সুবিধা করতে পারেনি। বোর্ডের সঙ্গেও খেলোয়াড়দের নানা ঝামেলা। পরিস্থিতি অনেকটা দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো।
হাথুরুসিংহে কি ঢাল হতে পারবেন?