একসময় চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ও হিথ স্ট্রিক উভয়েই কাজ করেছেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে। টাইগারদের ছেড়ে স্ট্রিক আগে চলে গেছেন, হাথুরু পরে। কালের পরিক্রমায় আবারও তারা বাংলাদেশে। তবে এবার ভূমিকা ভিন্ন। ত্রিদেশীয় সিরিজের অন্য দুদল শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ের হেড কোচ তারা। হাথুরু যখন লঙ্কানদের আর স্ট্রিক জিম্বাবুইয়ানদের টুর্নামেন্ট জেতানোর চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন, তখন সিরিজে স্বাগতিক দলই হেডকোচহীন!
কেননা চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখনও কোচ নিয়োগ দিতে পারেনি বিসিবি। হাথুরুর এমন বিদায় নেয়ায় অবাক হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে টাইগারদের সাবেক পেস বোলিং কোচ স্ট্রিক বললেন, ‘এটা বলা কঠিন, ওই সময় আমি ছিলাম না। দিনশেষে সে একজন শ্রীলঙ্কান। অবশ্যই নিজ দেশের হয়ে কাজ করা অনেক বড় ব্যাপার। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশের কোচ হওয়া বা অন্যকোনো দেশের কোচ হওয়ার চেয়ে নিজ দেশে কোচিং করানোর সুযোগ এলে বেশিরভাগ মানুষই সেটা করতে চাইবে।’
জিম্বাবুয়ে ঢাকায় পৌঁছে শুক্রবার রাতে। শনিবার বিকেলে মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনে নামে গ্রায়েম ক্রেমারের দল। অনুশীলন শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতার আশাবাদই ব্যক্ত করলেন স্ট্রিক।
সেখানে অন্য বিষয়ের সঙ্গে অবধারিতভাবেই উঠে এসেছে হাথরু প্রসঙ্গ। স্ট্রিক হাথুরু নিয়ে বলার সময় একটু ঘুর পথেই হাঁটলেন। লঙ্কানদের বর্তমান কোচের সিদ্ধান্তকে সমীহ করার পাশাপাশি স্মরণ করিয়ে দিলেন তার অবদানের কথাও, ‘আমি মনে করি সে বাংলাদেশে খুব ভাল কাজ করেছে, তার অধীনে বাংলাদেশ অনেক সাফল্য পেয়েছে। নিজ দেশের হয়ে কাজ করা মর্যাদার এবং তা যেকোনো মানুষের জন্যই।’
বাংলাদেশে দুবছর কাজ করার পর ২০১৬ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির বোলিং কোচের চাকরি নিয়ে চলে যান জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক স্ট্রিক। তিনি অবশ্য হাথুরুর মত করে বিদায় নেননি। বিসিবিকে জানিয়ে দেন আগেভাগেই। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশকে স্ট্রিকের স্থলাভিষিক্ত করে বিসিবি।