রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটিকে পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি হিসেবে উল্লেখ করে দেয়া রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমাদের ফুসফুস হিসেবে খ্যাত প্রকল্পটি সুরক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য।’
দৃষ্টিনন্দন এই প্রকল্পে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৮ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে আজ রায় দেন। হাইকোর্টের এই রায়ে প্রকল্প এলাকায় হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এবং আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সব ধরনের হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প থেকে উচ্ছেদ করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে আদালত প্রকল্পটির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করতে বলেছেন।
এছাড়া এই প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের পুরকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়েছে, পুরো প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে সব জনসাধারণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া পায়ে হাঁটার জন্য, সাইকেল চালানো ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন করার জন্য এই রায়ে বলা হয়েছে। আর লেকের পানিতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায়ে বলা হয়েছে ‘পুরো প্রকল্প এলাকার লেকের জল ও মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হলো।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।