‘আমার তো হাজার কোটি টাকা নেই, সামর্থ্যের মধ্যে যেভাবে যতটুকু পারছি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি। যদি কোটি কোটি টাকা থাকতো তাহলে অবশ্যই হাজারও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করতাম।’
বলছিলেন চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববি। মহামারি করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে তিনি বসে নেই। নিজে সচেতন থাকছেন, পাশাপাশি নিজের সামর্থ্যের মধ্যে অসচ্ছল মানুষদের সহায়তা করছেন।
গত তিন চারদিনে রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজার, মগবাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন অঞ্চলসহ রাস্তায় ঘুমানো মানুষদের কাছে গিয়ে ঘুরে ঘুরে ‘রাজত্ব’ ছবির এ নায়িকা নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্র্য বিতরণ করছেন।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ববি বলেন, ওইসব এলাকায় একবার দিয়ে শেষ করা যায়না। মনে হয় আরও যদি পারতাম! কদিনে আড়াই শতাধিক মানুষের হাতে এ দুর্যোগময় অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারগুলো দিয়েছি।
রবিবার (৫ এপ্রিল) ছিল চিত্রনায়িকা ববির বাবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। তার দাদার বাড়ি জামালপুর সদরে। ইচ্ছে থাকার পরেও লকডাউনের কারণে যেতে পারেননি ববি।
তিনি বললেন, দেশের এ অবস্থায় বাবার জন্য দোয়া মাহফিল করতে পারিনি। এখন খেয়ে পরে বেঁচে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের জামালপুরে স্থানীয় কিছু নিম্নবিত্ত মানুষদের সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি।
ববি বলেন, বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো আরও বেশি সাহায্য করতেন। তাকে অনুসরণ করে আমিও চেষ্টা করছি। এই সময়ে আমার আরও কিছু প্ল্যান আছে। আমি আমার মতো করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ঢাকায় আয়োজন করে কিছু করছি না। তবে জামালপুরে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজন করে মাদ্রাসা, এতিমখানায় কিছু সাহায্যের চেষ্টা করেছি। ওই যে বললাম, আমার তো হাজার কোটি টাকা নেই, সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু যেভাবে পারছি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
করোনার মধ্যে সবকিছুই স্থগিত। মানুষের বিপদে পাশে থাকার পাশাপাশি ববির দিন কাটছে নিজের বাসাতেই। তিনি বললেন, আমাদের বাসায় আইন ছিল নিয়মিত নামাজ আদায় করতে হবে। নইলে খাওয়া পাবা না! কিন্তু কাজের জন্য হয়তো সময়মত করতে পারতাম না। এখন সময়মত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছি।
তিনি বলেন, নিজেকে সময় দেই। বাসায় শারীরিক ফিটনেসের অনুশীলন করি। মা আর বোন অস্ট্রেলিয়াতে আছে। তাদের সাথে কথা বলি। আসলে বাইরে না গেলেও বাসাতেও কাজ কিন্তু কম না।