করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সশরীরে উপস্থিতির আদালতের বদলে দেশে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা শুরু হয়েছে।
যেখানে বিচারপ্রার্থীর জরুরি মামলা লড়তে ভিডিও কনাফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের সাথে যুক্ত হচ্ছেন আইনজীবীরা। ভার্চুয়াল আদালতের ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রার সুফল পৌঁছে গেছে দেশের প্রত্যন্ত জনপদে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর অঞ্চল থেকে ভার্চুয়াল হাইকোর্ট করলেন তরুণ আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
নিজ বাড়িতে থেকে ভার্চুয়াল হাইকোর্টে মক্কেলের জামিন শুনানি করে উচ্ছ্বসিত এই আইনজীবী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে করা মামলায় একজন চিকিৎসকের জামিনের পক্ষে আজ ভার্চুয়াল হাইকোর্টে শুনানি করলাম। বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে চলা এই জামিন আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।’
আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল আরো বলেন, ‘ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চলা শুনানির শুরুতেই বিচারপতি জে বি এম হাসান জানতে চান যে, আমি কোথা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়েছি? তখন আমি বলি, মাই লর্ড আমি কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওর অঞ্চলে আমার গ্রামের বাড়ি থেকে যুক্ত হয়েছি। তখন বিচারপতি জে বি এম হাসান হাসি দিয়ে বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট বলেই সূদূর হাওর অঞ্চল থেকে আজ শুনানি করতে পারছেন। এরপর একপর্যায়ে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। তবে আরো কিছু ডকুমেন্টের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় আজকের মত শুনানি শেষ হয়েছে, এবিষয়ে আবার পরবর্তীতে শুনানি হবে।’
আজকের এই ভার্চুয়াল আদালতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল বলেন, ‘আজই প্রথম আমি ভার্চুয়াল হাইকোর্টে শুনানি জামিন শুনানি করলাম। এটা ছিল অন্যরকম এক ভালো লাগার অভিজ্ঞতা। এই অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’