চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হল নিয়ে আন্দোলন করতে হলে আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধান এবং প্রভাবশালী কর্তৃক পূর্বের হলগুলো দখলমুক্তের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় হল নির্মাণে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন অনলাইন অ্যাকটিভিষ্ট এবং সাংবাদিক আরিফ জেবতিক।

তিনি তার নিজের অবস্থান জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন: একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল থাকে, হল লাগে-এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ব্যাপারটিই অস্বাভাবিক।

এরা হল পাওয়া তো দূরের কথা, তাঁদের নিজেদের ৯টি হল বেদখল হয়ে আছে আজ ৩০ বছর ধরে! ( তিব্বত হল দখল করে হাজী সেলিম সেখানে তার বউয়ের নামে মার্কেট বানিয়ে ফেলেছে!)

শহীদ আনোয়ার শফিক হল, সাইদুর রহমান এবং রউফ মজুমদার হল দখল নিয়ে অথবা পুরোনো ভবন ভেঙে সেগুলোতে দস্তুর মতো ফার্নিচার আর হার্ডওয়্যার ব্যবসা চলছে। যেহেতু এই হলগুলো পুরোনো হিন্দু অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে ছিল, এগুলোর কাগজপত্রের নানান জটিলতার কথা বলে হলগুলো প্রভাবশালীরা এভাবেই দখল করে নিয়েছে এবং সেই ২০০৯ সাল থেকেই সরকারি পর্যায়ে এই হলগুলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলা হলেও ডিসি অফিসের লাল ফিতার গেরো আর ছুটছেই না।

এই অবস্থায় বছরের পর বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে শুধু বাসস্থানের মতো নূন্যতম সুযোগের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে-এটি বড় লজ্জার, বড় অবমাননার। বর্তমানে তাঁরা পরিত্যক্ত কারাগারের স্থানে হল নির্মানের জন্য যে দাবি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে সেটিকে খুবই যৌক্তিক মনে হচ্ছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল আন্দোলনে তাই পূর্ণ সংহতি জানাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।