সারা বিশ্বের প্রগতিশীল মানুষের জন্য বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক জোটের বিলুপ্তি একটা বিপন্ন বিস্ময়। যে দ্রুতগতিতে ৭০ বছরের অকল্পনীয় সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়া সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে, তা দুর্বোধ্য। আশ্চর্যের বিষয় এই যে সমাজতন্ত্রের বিলুপ্তি প্রতিরোধের কোনো প্রচেষ্টা দেখা গেল না মনে হয় সমাজতন্ত্রে কেউ উপকৃত হয়নি, অর্জিত কিছুই রক্ষা করার ছিল না।
রুশ বিপ্লব বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে আশাবাদী করেছিল, নিজেদের শোষকশ্রেণির বিরুদ্ধে সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করেছিল, শ্রেণি শোষণ বিলুপ্তির প্রচেষ্টায় আস্থা জুগিয়েছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতন্ত্রের অবলুপ্তির পর চীন ও ভিয়েতনামে সমাজতান্ত্রিক বা সাম্যবাদী শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও উৎপাদনে ব্যক্তিগত মালিকানার প্রচলনে সমাজতন্ত্র বা সাম্যবাদের বাস্তব উপযোগিতা বিষয়ে সংশয় আরও বেড়েছে।
নিরাশা সৃষ্টি ছাড়াও নানা কারণে সমাজতন্ত্রের পতনের পরিণাম ব্যাপক এবং এর প্রতিক্রিয়া দীর্ঘকালব্যাপী বিশ্বরাজনীতি ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা প্রভাবিত করবে। অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক শক্তির ভারসাম্যে বিপজ্জনক পরিবর্তন হয়েছে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ আন্তর্জাতিক ব্যাপারে কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষমতার ভারসাম্য ব্যাহত না হলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন অনেক সীমিত থাকত।
১৯৬০ সালে মস্কোয় অনুষ্ঠিত ৮১ পার্টির সভা শেষে ঘোষণায় বলা হয়, ‘বিশ্বায়িত ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা একটা প্রচণ্ড ভাঙন ও ক্ষয়ের পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে।’ ‘সামাজিক প্রগতির জন্য আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদানের প্রয়োগে ধনতন্ত্র ক্রমবর্ধমান বাধার সৃষ্টি করছে।’ ৩০ বছরের মধ্যে ওই মূল্যায়ন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ওই সভার ১০ বছরের মধ্যে সর্বাধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিপ্লব শুরু হয়, যার শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
বিদ্যুৎ, বিশেষ করে বেতার যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে (Information Technology) অভূতপূর্ব আবিষ্কার সুদূর গ্রামবাংলার বসতিদের দৈনন্দিন জীবনেও পরিবর্তন আনে। এই ঢেউয়ের পরবর্তী পর্যায়ে জীব-সম্পর্ক প্রযুক্তির (bio-technology) প্রাধান্য বেড়েছে। সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো এই সময়েই দ্রুত পিছিয়ে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সমাজতন্ত্রের বাস্তব অনুশীলন মূলতই সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ বৃদ্ধি পায়; নানা দেশে সাম্যবাদী দলের সভ্য বা কর্মীসংখ্যা কমে আসে, সমর্থক, সভ্য, নেতা মার্ক্সবাদের সমালোচনায় যোগ দেয়। মার্ক্সবাদে আস্থা হারিয়ে বাংলাদেশে কমিউনিস্ট পার্টির কিছু নেতার উদ্যোগে এই ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলকে সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করার প্রচেষ্টাও ঘটে!
দুই
‘বেঠোফেনের সঙ্গীত আমাকে মুগ্ধ করে কিন্তু আমি বেশি শুনতে চাই না, কারণ বেশি শুনলেই আমার মাথা ঝমঝম করে এবং আমি বিপ্লবের থেকে দূরে চলে যাই’ এটা লেনিনের উক্তি। সেদিন ছিল ৭ নভেম্বর, ১৯১৭; স্থান পেট্রোগ্রাদ, সময় দুপুর গড়িয়ে বিকেল। লেনিনের নির্দেশ অনুসারে বিপ্লবের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ বলশেভিক শ্রমিক সেনারা তখন রাইফেল উঁচিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে উইন্টার প্যালেসের দিকে। তাদের লক্ষ্য, কেরেন্সকির নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের কারাবন্দি করা। সেসঙ্গে আইজেনস্টাইনের কালজয়ী ছবি ‘অক্টোবর’- এর প্রাসঙ্গিক দৃশ্যগুলি স্মরণ করুন। একটির পর একটি দুর্বল প্রতিরোধকে অতিক্রম করে শ্রমিক সেনারা সুদৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যপূরণের দিকে। তাদের শুধু মাঝেমধ্যে বিভ্রান্ত করছে প্রাসাদে সংরক্ষিত শিল্প-ঐশ্বর্যের বিপুল সম্ভার, অনুপম সব স্থাপত্য আর অবিস্মরণীয় চিত্রকার্য।
ঠিক সেই সময়েই নির্দেশ এল স্বয়ং লেনিনের থেকে। লেনিন বলেছেন, “একটি শিল্পকর্ম যেন বিনষ্ট না হয় কারণ এই সম্পদ জনগণের সম্পদ।” এই ভাবেই লেনিন সৃষ্টির ঐতিহ্য ও পরম্পরার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। প্রসঙ্গত, মার্কসীয় নন্দনতত্ত্বের প্রথম পাঠেই বলা হয়েছে, ‘অতীতের যা কিছু সুন্দর, গ্রহণীয় এবং উপযোগী তা সব কিছুই রক্ষা করতে হবে।’
এরপর নভেম্বর বিপ্লবের সফল পরিসমাপ্তির পর সোভিয়েত রাশিয়া মেতে উঠল শিল্পসৃজনের মহোত্সবে। আইজেনস্টাইন ও পুদভকিনের চলচ্চিত্র, মায়ারহোল্ডের প্রথা ভঙ্গকারী নাট্য প্রযোজনা, গোর্কি ও গোগোলের কথাসাহিত্য, মায়াকভস্কির কবিতা এই সব কিছুর স্ফূরণ ও বিকাশ রাশিয়াকে পরিণত করল সৃজনের পীঠস্থানে। যারা শিল্পসাহিত্যের কারবারি, তারা কিছুটা নির্জনতা পছন্দ করেন। এই পছন্দের কথা স্মরণে রেখেই লেনিন তার অনুগামীদের বলেছিলেন, ‘‘ম্যাক্সিম গোর্কিকে বেশি বিরক্ত করো না, ওকে নিজের মতো থাকতে দাও।’’
আজও আমাদের অনেকের বইয়ের শেল্ফে শোভা পায় একটির পর একটি রত্ন আলেকজান্ডার পুশকিনের ‘ক্যাপ্টেনের কন্যা’, টলস্টয়ের মহাকাব্যসম যুদ্ধ ও শান্তি, দস্তয়েভস্কির ‘অপরাধ ও শাস্তি’, সের্গেই ইয়েসেনিনের কবিতা। এই বই এবং অন্যান্য আরও চিরায়ত গ্রন্থ প্রকাশ করেছে মস্কোর প্রগতি প্রকাশনী। শক্ত বাঁধাই, মসৃণ কাগজ, ইংরেজি ও বাংলায় চমকপ্রদ অনুবাদ, এই সব কিছুই আমাদের অতীতে মোহিত করেছিল এবং এখনও করে। এমনকী দস্তয়েভস্কির মতো প্রবল কমিউনিস্ট বিরোধীকেও যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করেছিল সোভিয়েত জমানা।
সর্বোপরি বইগুলিতে লুকিয়ে থাকত একটা বিশেষ সুবাস, এখনও সেই সুগন্ধ হারিয়ে যায়নি। এই সুগন্ধই যেন সূত্রায়িত করেছে রুশ সৃজনের বৈচিত্র্য, গভীরতা ও সূক্ষ্মতাকে। আমরা যখনই মায়াকোভস্কি, ইয়েসেনিন, আন্না আখমাটোভা-র কবিতা পড়ি, গোর্কি, বুলগাকভ ও অস্ত্রোভস্কির উপন্যাস পড়ি, তুর্গেনেভ-এর সংক্ষিপ্ত উপন্যাসগুলির রসাস্বাদন করি, বিশেষ করে ‘আসিয়া’, ‘বসন্ত কন্যা’ আর ‘প্রথম প্রেম’, যখন আইজেনস্টাইন-পুদেভকিনের ছবি দেখি, যখন চাইকোভস্কি ও শোস্তাকোভিচ-এর উত্তাল সঙ্গীত শুনি, তখনই লেনিন, ট্রটস্কি, লুনাচারস্কির সৃজন ব্যাখ্যা মনে আসে স্বাভাবিক নিয়মে। সৃজন ও তার মূল্যায়নের এই অমূল্য ইতিহাস শুরু হয়েছিল সেই দিন ৭ নভেম্বর, ১৯১৭।
তিন.
এক সময় দেয়ালে লিখা হতো, ‘শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব।’ এটা লেনিনের বাণী। এক সময় বাংলাদেশের দেয়ালে দেয়ালে আলকাতরা দিয়ে লেখা হতো বিপ্লবের এমন অসংখ্য-অজস্র অমোঘ বাণী। আমরা পুরো আশির দশক ধরে দেখেছি বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষার্থীদের প্রবল জোয়ার!
রুশ বিপ্লবের কারণে কার সংসারে কতোটুকু কী উপকার হয়েছে, জানি না। তবে বাঙালির সামনে খুলে গিয়েছিল রূপকথার দরজা। কত উথালপাথাল শব্দের যে রিমেক হল! রক্ত, ক্ষুধা, লৌহবলয়, রক্তিম ভোর, স্লোগানে উদ্বেল রাজপথ ইত্যাদি।
শ্রীরাধিকার যমুনায় হঠাৎই ভোলগার ঢেউ এসে বাসা বেধেছিল। মধ্যবিত্ত বাঙালির চেতনার জগতে তখন দুই ঠাকুরের বাস। রবি ঠাকুর ও লেনিন ঠাকুর। রাশিয়া থেকে কত পিস মিগ বিমান এল, ইউক্রেন থেকে এল কত বস্তা চাল-গম-এ-সব ছাপিয়ে তখন আলোচনা, কী কী নতুন বই এল৷ কিরঘিজস্তান বা উজবেকিস্তানের রূপকথা যে ঠাকুরমার ঝুলিকে ছেঁদা করে বাংলায় ঢুকে পড়বে কে জানত! পাঁচ থেকে দশটাকায় বিকিয়েছে মার্কস-লেনিন রচনাবলি, লেনিনের রাষ্ট্র, মার্ক্সের ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ এবং ননী ভৌমিকের অনুবাদে ইঁদুর, ভালুক আরও কত কী!
গোর্কির ‘মা’ বা অস্ত্রোভস্কির ‘ইস্পাত’ তখন রবি ঠাকুরের পাশে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছে। রাশিয়া তখন বাংলাকে গিলতে আসছে৷ হরেক কিসিমের হাতছানি৷ নামের শেষে ‘ভস্কি’ জুড়ে কত না রসিকতা! ধরা যাক অমল সিনেমা ভালবাসে, তাকে ডাকা হল অমলাভস্কি (প্রেরণা তারকভস্কি), কিংবা বাবুল নাটক ভালোবাসে, তার নাম হল বাবুলাস্লাভস্কি (প্রেরণা স্তানিস্লাভস্কি)। ছোট ভাইয়ের নাম লায়ন তো বড় ভাইয়ের নাম নেনিন। স্ট্যালিন, গোর্কীরা তো একসময় ছিল কমন নাম। লেনিন, স্ট্যালিন, গোর্কী, শাশা, ক্রুশ্চেভরা ছিল আমাদের ছোট বেলার খেলার সঙ্গী। ওদের সঙ্গে কত শীতের বিকেলে ফুটবল নিয়ে কাটিয়েছি! তখন কি আর জানতাম, এই নামগুলো স্রেফ আমাদের খেলার সঙ্গী নয়, বরং একেকটি ইতিহাস!
ছোটকালে আমরা অনেক বিপ্লবীকে দেখেছি। তাদের আলাপ-আলোচনা শুনেছি। তারা প্রত্যেকে নামের আগে ‘কমরেড’ ব্যবহার করতেন। তাদের কথাবার্তা চালচলনে একটা উড়নচণ্ডি ভাব দেখা যেত। বিপ্লবের পথপদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো আলোচনায় তাদের খুব একটা আগ্রহ দেখতাম না। কৈশোরে, যেখানে আমার জন্ম ও বেড়ে উঠা, সেই পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলাকে মনে হতো এক টুকরো মস্কো৷ সেখানে ছোট্ট একটা নদী আছে, নাম ‘পাথরাজ।’ এই পাথরাজকেই মনে হতো যেন ভল্গা! কান পাতলে শোনা যেত বিপ্লবের কলধ্বনি৷ সেই সময়ের রাজনীতি-সক্রিয় মানুষগুলোকে দেখতাম বিদ্যুতের আলোবিহীন বাজারের চায়ের দোকানে বসে লিকার চা সহযোগে সাম্রাজ্যবাদের মুণ্ডপাত করতেন। কিউবার কোনটা করা উচিত কিংবা গুয়াতেমালার কোনটা করা অনুচিত অটল প্রত্যয়ে তার আলোচনা চলত৷ স্বাধীনতার পূর্বে এবং পরে যতো তরুণ-তরুণী বাংলাদেশে সমাজতন্ত্রকে আদর্শ মেনে ছাত্র ইউনিয়ন কিংবা কমিউনিস্ট পার্টির সভ্য হয়েছিলেন, তা গুনেগেঁথে শেষ করা যাবে না৷ এই সব ‘সোনার সন্তানরা’ সব ঘরে সলতে পাকালে অ্যাদ্দিনে বিপ্লবের আগুন জ্বলে যেত৷ আমাদের দুর্ভাগ্য যে, তা হয়নি!
কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যদের একটা বড় অংশ গর্বাচভের হাত ধরে সোভিয়তে ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার পতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দলত্যাগ করেছেন। পার্টি দুর্বল হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিপ্লবের পক্ষে না থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে সমাজতান্ত্রিক আদর্শের প্রতিও নিরাসক্ত হয়ে পড়েন। ছাত্র-যুবরাও বামপন্থি শিবির ছেড়ে সুবিধাবাদসমৃদ্ধ বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলোতেই নাম লেখাতে আগ্রহী হয়ে উঠে। নীতি-আদর্শ নয়, নগদ প্রাপ্তি, স্বার্থ ও সুবিধার আধার হয়ে উঠে দেশের প্রচলিত রাজনীতি। ছাত্ররাও সেই সুবিধাবাদকেই নিজেদের আদর্শ হিসেবে বেছে নিতে শুরু করে। সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শে বিশ্বাসী বামসংগঠনগুলোর ভিত্তি ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে।
এখনও দেখি কেউ কেউ সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডা উঁচিয়ে ধরতে আকুল আহবান জানান। কিন্তু সেই আকুলতা তরুণতরুণীদেরও তেমন ভাবে আকর্ষণ করতে পারে না! একদা ডাকসাইটে ‘ত্যাগী’ কমরেডরা বেশিরভাগই আজ মত-পথ-দল বদলে ‘বুর্জোয়া’ দলে নাম লিখিয়েছেন। একদা বিপ্লবীদের একজনকে সেদিন দেখলাম এক আড্ডায় ধোঁয়ায়িত চায়ের সঙ্গে সিগারেট টানছেন৷ আর যৌবনে তার ‘ত্যাগী রাজনীতির মহিমার বর্ণনা দিচ্ছেন! বিপ্লবের আগুন ধিকধিক করছে দু’আঙুলের ফাঁকে! কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই আগুন ছাই হয়ে গড়িয়ে পড়ছে মেঝেতে! না, সত্যিই ‘হলো না, যা হতে পারিত!’
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)