চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হলি আর্টিজান ভীতি কেটে যাওয়ায় বিনিয়োগ প্রত্যাশায় বাংলাদেশ

গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর ডালপালা ছড়ানো ভয়-ভীতি কেটে যাচ্ছে। দেশ-বিদেশে সফরের মাধ্যমে বিদেশিদের ভীতি কাটাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে সিঙ্গাপুর ও জাপানের অনেক বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিডা জানায়, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে গত ৩ থেকে ৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে আয়োজিত বাংলাদেশ-জাপান বি টু বি কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধি ও বেসরকারি ব্যবসায়ীরা।

সংবাদ সম্মলনে প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কামাল আজাদ বলেন, হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জাপানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। ফলে তাদের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বড় একটি ব্যবসায়িক বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। সেটি চলতি মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি। তারা বিনিয়োগে আগ্রহী।

‘হলি আর্টিজানের ঘটনায় তাদের মধ্যে যে ভয় ও শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো তা এখন কেটে যাচ্ছে।’

দেশে আগের চেয়ে বেসরকারি বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক দেশের সাথে বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে। আমাদের জমি আছে, ব্যবসার পরিবেশ ভাল, আইন সহনীয় পর্যায়ে। অতএব বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বেই।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাশেম খান বলেন, জাপান এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অর্থাৎ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। তার ১০ শতাংশও যদি আনা যায়, তাহলে দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে। তবে তারা বাংলাদেশের কিছু আইনে আপত্তি জানিয়েছে। সেগুলো সরকারকে দ্রুত সমাধান করতে হবে।

আবুল কাশেমের কথার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সচিব শুভাশীস বসু বলেন, বৃটিশ আমলের করা কোম্পানি আইন আধুনিক করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনটি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলে আধুনিকায়ন করা হবে।

মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, জাপানের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগ গন্তব্যের ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩তম। কিন্তু দেশটির স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পর জাপানিদের সাথে বৈঠক করে বুঝতে পারলাম, তাদের সেই ভীতি কেটে যাচ্ছে। তবে হলি আর্টিজানের ভয় ভীতি কাটাতে এ সফর একটা প্রথম প্রচেষ্টা। এটি চালিয়ে যেতে হবে। কারণ জাপান যদি বিনিয়োগে এগিয়ে আসে তাহলে অন্যরাও এগিয়ে আসবে। তারা এখন চীনে বিনিয়োগ করছে। এসব বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশমুখী করতে হবে।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, সব বিদেশি কোম্পানিগুলোর স্টেশন হল সিঙ্গাপুর। কারণ তাদের  শিক্ষার মান উন্নত। ব্যবসায়িক পরিবেশ ভাল। তাই সেখানে সিঙ্গাপুর ও জাপানিদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে হলি আর্টিজানের ক্ষত সারাতে বিভিন্ন ইতিবাচক দিক তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।