জনি ডেপ ছাড়া হলিউডের কথা ভাবাই যায় না। ৩৫ বছরের ক্যারিয়ারে জনি ডেপ ভক্তদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক অসাধারণ ছবি। কিছু চরিত্র যেন তৈরিই হয়েছে তার জন্য। কিন্তু স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলায় হেরে যাওয়ায় একের পর এক কাজ হারাতে হচ্ছে তাকে।
২০১৬ সালে যখন জনি ডেপের বিরুদ্ধে অ্যাম্বার হার্ড শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন, তখন থেকেই জনি ডেপের ক্যারিয়ার পতনের মুখে। ২০১৮ সালে জনি ডেপকে ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ থেকে বাদ দেয়া হয়। এরপর ২০২০ সালে মামলায় হারার পর বাদ দেয়া হয় ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস ‘ থেকে।
মামলায় হারার অপমানে ঘি ঢেলেছে যুক্তরাজ্যের আদালত। জনি ডেপকে ১ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে তারা। প্রশ্ন উঠেছে, জনি ডেপকে কি তাহলে হলিউড বহিষ্কার করে দিয়েছে? হয়তো, হয়তো না। তবে নতুন করে শুরু করে আগের অবস্থানে যাওয়াটা বেশ কঠিন জনি ডেপের জন্য।
২০০৬ সালে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়েছিলেন মেল গিবসন। ২০১১ সালে প্রাক্তন প্রেমিকা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তখন বলা হয়েছিল তার ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি ফিরেছেন ‘হ্যাকস রিজ’ পরিচালনার মাধ্যমে। ছবিটি প্রশংসা পেয়েছিল। অস্কারের ৬টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়ে ২টি পুরস্কার জিতেছিল।
২০০৪ সালে প্যারাডাইস কেলেঙ্কারিতে উঠে আসে মার্থা স্টিওয়ার্ট এর নাম। ফলস্বরূপ মার্থা স্টিওয়ার্টকে জেলে যেতে হয়েছিল। প্রায় ৫ মাস কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। সেসময়ে বলা হয়েছিল তার ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু শেষ হয়নি।
১৯৯৯ সালে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে মাদক সম্পর্কিত অপরাধে জেল খাটতে হয়েছে। হলিউড তাকে বের বহিষ্কার করতে চেয়েছিল। ‘আয়রনম্যান’কে আটকে রাখা যায়নি।
যুক্তরাজ্যে হারলেও আমেরিকায় করা ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তাই এই মামলা যদি তিনি জিতে যান, তাহলে তা হলে ক্যারিয়ার গেম-চেঞ্জার।
জনি ডেপের ভক্তদের সংখ্যা কম নয়। তাকে ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ এবং ‘হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম থ্রি’তে ফেরানোর জন্য ২ লাখের বেশি ভক্ত ইতোমধ্যেই সাক্ষর করে ফেলেছেন। তাই ভক্তদের কারণেই হয়তো আবার হারানো ক্যারিয়ার ফিরে পাবেন জনি ডেপ। দ্য থিংস