হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা মনোহরলাল খট্টরেরও নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, তথ্য অধিকার আইনের (আরটিআই) মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আরটিআইয়ের মাধ্যমে আরও জানা যায়, হরিয়ানার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যসহ রাজ্য মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরও নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় কাগজ নেই।
গত ২০ জানুয়ারি পি পি কাপুর নামে রাজ্যের পানিপথ শহরের এক নাগরিক আরটিআই’র মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালসহ কয়েকজন মন্ত্রীর নাগরিকত্ব প্রমাণে প্রয়োজনীয় কাগজ রয়েছে কিনা, জানতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য জানা যায়।
হরিয়ানার তথ্য কর্মকর্তা পুনম রথি বলেন, আমাদের কাছে থাকা রেকর্ডে তাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তাদের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত নথি নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকলেও থাকতে পারে।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নামে এক ভারতীয় আরটিআই’র মাধ্যমে জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগরিকত্বের সনদ রয়েছে কিনা। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছিল, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কোনো নাগরিকত্ব সনদ নেই। জন্মসূত্রে তিনি ভারতীয়।
বিজেপি সরকার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) নিয়ে সরব। কিন্তু তাদের প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেকেরই নাগরিকত্বের সনদ নেই বলে জানা যাচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে ভারতে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ভাবমূর্তির পরিপন্থি। এনআরসি ও এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয় মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করার চেষ্টা হচ্ছে।