পিকেটার-পুলিশ মুখোমুখি। জলকামান আর টিয়ার শেলের ঝাঁঝালো ধোঁয়া। চিত্রটি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে শাহবাগে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর ডাকা হরতালের। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পর থেকে সাম্প্রতিক প্রতিবাদের মতো এটা ছিলো অন্যসব দিনের মতোই একটি চিত্র।
তবে ব্যতিক্রম একটি ঘটনা বেশিরভাগ সংবাদ কর্মীর নজর এড়িয়ে গেলেও ক্যামেরায় ধরা পড়া এক ‘অদ্ভুত ছবি’ সামাজিক মাধ্যমে ভালোই সাড়া ফেলেছে।
ছবিটিতে দেখা যায়, হরতাল সমর্থনকারী এক নারী কর্মীকে আটকের জন্য একদিক দিয়ে পুলিশ টানছে অন্যদিকে ওই নারীর জামা কামড়ে উল্টো দিকে টানছে একটি কুকুর।
সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় টিকা-টিপ্পনী। অনেকেই তীর্যক মন্তব্যের মাধ্যমে সরকার এবং পুলিশ বাহিনীকে জর্জরিত করেন। অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, কুকুরটি নাকি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়েছে, ইভার প্রতিরক্ষা করেছে!
অবশ্য এমন ঘটনাকে কাকতালীয় বলেই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভা মজুমদার। কারণ পুলিশ ও কুকুরের টানাটানির মাঝে থাকা নারী তিনি নিজেই।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ইভা বলেন, ‘আসলে গোটা ব্যাপারটি কাকতালীয়। ও আমার পোষা কুকুরও নয় যে আমাকে রক্ষা করতে আসবে। আদতে কী জন্য এমন করেছে তা তো আর আমার বোঝার কথা না।’
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতাল কর্মসূচিতে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফটোসাংবাদিক রেহমান আসাদ। তার ক্যামেরাতেই এই ছবিটি তোলা এবং পরে তিনি এটা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানান, ‘২০১৭ সালে তোলা আমার শ্রেষ্ঠ ছবি’।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ অ্যাকশনে যাওয়ার পর একের পর এক ক্লিক করছিলাম ক্যামেরায়। পিকেটারদের আটকের সময়ও ছবি তুলছিলাম। তখনই এই দৃশ্য চোখে পড়ে।
‘আসলে সেসময় কুকুরটা কেন এমন আচরণ করেছে, তা তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ প্রাণীর ভাষা বোঝাটা সহজ নয়।’
তবে, তিনি বলেন, এটা দেখেছি যে, পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ভয়ের চেয়ে কুকুরের ওই আচরণে কিছুটা আতঙ্কিত হয়েছিলেন ওই পিকেটার।’