চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

হত্যার হুমকিতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তায় লন্ডনের মেয়র

একাধিক বার হত্যার হুমকি পেয়ে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তায় রয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। গত বছরের শেষ তিনমাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৩৭ বার হত্যার হুমকি দেয়া হয় তাকে।

এসব হুমকি পাওয়ার পর ১৭টি মামলা করা হয়। এরপর থেকে মেয়রের নিরাপত্তা জোরদার করেছে লন্ডন পুলিশ।

মেয়র সাদিক খান মনে করেন লন্ডন ভিত্তিক চরমপন্থি গ্রুপ ‘ ইয়োলো ভাস্ট’ এবং ইসলাম বিদ্বেষী গ্রুপ ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’ নামের দুইটি সংগঠন তাকে হত্যা করতে চায়। সম্প্রতি লন্ডনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য মেয়র ওই দুটি সংগঠনকে দায়ী করেছেন।

হত্যার হুমকির বিষয়ে মেয়র সাদিক খান দি টাইমস ম্যাগাজিনকে বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে লন্ডনের মেয়র হওয়ায় পুলিশি পাহারায় থাকাটা সঠিক হতে পারে না।

‘‘দেশজুড়ে জাতিগত বৈষম্য ও ধর্ম ভিত্তিক আক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া এ ধরণের নাম ধরে হত্যার হুমকির প্রবণতা তৈরি হয়েছে। জো কক্স হত্যার পর থেকে সন্ত্রাসীরা লন্ডনে আসতে শুরু করেছে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।’’

তিনি মনে করেন, ২০১৬ সালের গণভোটের পর থেকেই নানা ভাবে বিভিন্ন জনের নামে, ট্রল করে সন্ত্রাসী হত্যার হুমকি দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

চরমপন্থিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায় সাদিক খানের ডাক্তারি ছবি দিয়ে বর্ণবাদী পোস্ট দিয়ে থাকেন। এর আগে ২০১৭ সালে তার ওপরের হামলাকারী একটি সুইসাইড লিখে হামলা চালান।

তার ওপর হামলার বিষয়ে ড্যারেন অসবর্ন তার ট্রায়ালে বলেন, ‘মেয়র সাদিক খানকে হত্যা করা লটারিতে জিতার মতো ব্যাপার হয়ে গেছে।’

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্রিজে সন্ত্রাসী হামলার পর মেয়র সাদিক খান এ ঘটনায় ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই’ বলে মন্তব্য করলে এ ‘বক্তব্য’ নিয়ে টুইটারে সমালোচনা করেন ট্রাম্প।

সাদিক খানের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কমপক্ষে ৭ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন, আর লন্ডনের মেয়র বলছেন, ‘আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই’!

আরেকটি টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে সঠিক থাকা আমাদের অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের নিরাপত্তায় নিয়োজিত হতে হবে। আমরা যদি স্মার্ট না হই তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’

ট্রাম্প ইচ্ছাকৃতভাবে প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে সাদিক খান বলেন, ট্রাম্পের সমালোচনার জবাব দেয়া থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

প্রথম কোনো অশ্বেতাঙ্গ ও মুসলিম হিসেবে লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হোন লেবার পার্টির প্রার্থী পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত সাদিক খান। ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল (কনজারভেটিভ) পার্টির প্রার্থী জ্যাক গোল্ডস্মিথকে পরাজিত করে নির্বাচনে ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হোন সাদিক খান।