‘একটা ম্যাচ চাই, একটা ম্যাচ,’ রুবেল হোসেন এই আকুতি এখন করতেই পারেন। নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। তিন ম্যাচে ছিল সাতটি উইকেট। অথচ শ্রীলঙ্কা সফরে সেই টি-টুয়েন্টি সিরিজের আগেই দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। খেলতে পারেননি টেস্ট-ওয়ানডেতেও। এসব কারণে হতাশ হয়ে পড়ছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।
‘সেভাবে আমার ম্যাচ খেলা হয়নি। অনেক হতাশা কাজ করে। তারপরও আমি এসব মানিয়ে নিচ্ছি। সুযোগ এখন আসছে না, একসময় আসবে। যখন সুযোগ আসবে কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব।’ বলছিলেন রুবেল হোসেন।
রুবেল ঘরোয়া লংগার ভার্সন বিসিএলে ভালো করে ডাক পান জাতীয় দলে। নিউজিল্যান্ডের পর শ্রীলঙ্কায়ও খেলা হয়নি ওয়ানডে। সবশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ওয়ানডেতে।
‘ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ খেলা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটা প্লেয়ার যখন টানা ম্যাচ খেলে তখন আত্মবিশ্বাস অন্য লেভেলে চলে যায়।’
কিন্তু এভাবে দিনের পর দিন সাইডবেঞ্চে বসে থাকলে একজন ক্রিকেটারের মানসিক অবস্থা কোন পর্যায়ে যায় সেটাও বললেন বাগেরহাট থেকে উঠে আসা এই পেসার, ‘আপনি যখনই ধারাবাহিকভাবে খেলবেন না নিজের কাছে অস্বস্তিবোধ হবে। মনে হবে এই ম্যাচটা খারাপ খেললে পরের ম্যাচে আমাকে ড্রপ দিয়ে দেবে।’
রুবেল তবু চ্যালেঞ্জ নেয়ার কথা বলছেন, ‘তবে এটাও একটা ভালো দিক, একটা চ্যালেঞ্জ থাকে প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাকে ভালো খেলতে হবে।’
জুনে ইংল্যান্ডে বসবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে আয়ারল্যান্ডে রয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ভালো করে থাকতে চান ওয়ানডে দলে, ‘লক্ষ্য ভাল খেলা। ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এই লিগে ভাল খেলা দরকার। কারণ সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। ভাল করলে আমার জন্য দলে থাকা সহজ হবে।’