রোববারই বাংলাদেশের মাটিতে এশিয়ার সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রেকর্ড না হলেও পাকিস্তানের মাঠে ৩৭০ করতে পারাটা অবিশ্বাস্য কীর্তিই হতো সাউথ আফ্রিকার জন্য। সেখানে যে ২২০ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। অসম্ভবকে সম্ভব করার পথেও হাঁটছিলেন এইডেন মার্করাম আর টেম্বা বাভুমা। স্বপ্নটা শুরু করেছিল উঁকি দেয়ার। হঠাৎ এক ধসে ভেসে গেছে প্রোটিয়াদের সেই আশা। জয় দিয়ে সিরিজ ড্র করার পথ থেকে সরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
দুই টেস্টের সিরিজের শেষটি অর্থাৎ, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষদিনে সাউথ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩৭০ রান। চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রান তুলে লক্ষ্য ছোঁয়ার পথে দারুণভাবে এগোচ্ছিলেন মার্করাম-বাভুমা জুটি। ৮২তম ওভারে হাসান আলির ছোবলে ভাঙে জুটি, পরের ১০ ওভারের মধ্যে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রানে অলআউট কুইন্টন ডি ককের দল।
হাতে ৯ উইকেট নিয়ে পঞ্চম দিনের শুরু করেছিলেন মার্করাম ও রেসি ফন ডার ডুসেন। দিনের তৃতীয় বলে ডুসেনকে ৪১ রানে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান এই সিরিজেই নতুন রূপে ফেরা পেসার হাসান আলি।
ফ্যাফ ডু প্লেসিসকেও উইকেটে থিতু হতে দেননি হাসান। ৫ রানে সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি পেসার।
১৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো সাউথ আফ্রিকাকে সেখান থেকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন মার্করাম, সঙ্গে বাভুমা। ৫৯ রান নিয়ে শেষদিনে নামা মার্করাম পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে ছুটতে থাকার পথেই আবারও ছোবল হাসান আলির।
২৪৩ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো মার্করামের ইনিংসকে থামান উইকেটের পেছনে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি করে। পরের বলে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ হাসানের চতুর্থ শিকার অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক।
৬১ রান করা বাভুমাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। লেজের ব্যাটসম্যানদেরও ছেঁটে ফেলার কাজটা সেরেছেন তিনি। মাঝে জর্জ লিন্ডেকে নিজের পঞ্চম শিকার বানান হাসান।
দুই বছর আগে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষেই শেষ টেস্ট খেলা হাসান রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দু-ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট, হয়েছেন ম্যাচ সেরা। শাহিন শাহ আফ্রিদি নিয়েছেন ৪ উইকেট।