অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় জয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গ্রুপ ‘ডি’ রানারআপ নেপাল। আর রানারআপ নামিবিয়া খেলবে গ্রুপ ‘ডি’ চ্যাম্পিয়ন ভারতের বিপক্ষে।
মঙ্গলবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামিবিয়াকে মাত্র ৬৫ রানেই প্যাকেট করে ফেলে বাংলাদেশের বোলারা। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬ ওভারে মাত্র ২ হারিয়েই জয় তুলে নেয় টাইগার যুবারা।
ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে অবশ্য ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। স্কোর বোর্ডে কোনো রান জমা পড়ার আগেই প্যাভেলিয়নে ফেরেন পিনাক ঘোষ। ইনিংসের পঞ্চম বলে রিচ কোয়েটজের বলে লোহান লরেন্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৩ রানের মাথায় আবার আঘাত। ৮ রান করে কোয়েটজের দ্বিতীয় শিকার হন সাইফ হাসান।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর জুটি বাধেন জয়রাজ সেক ও নাজমুল হোসাইন শান্ত। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন। জয়রাজ ৩৪ এবং আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত করেন ১৪ রান।
এর আগে জুনিয়র টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং-ফিল্ডিংয়ে চরম চাপে নামিবিয়া। দলীয় ৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ৫০ রানের মধ্যেই প্রথমসারির পাঁচ ব্যাটসম্যান হারিয়ে ধুকতে ধুকতে ৬৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারে সাইফুদ্দিনের বলে শান্তের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ রান করে প্রথম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরেন ইফটি-এটন। এরপর পঞ্চম ওভারে রান আউটের শিকার হন নামিবিয়ান ব্যাটসম্যান জেই গ্রিন।
দলীয় ৩৭ রানে তৃতীয় উইকেটের পতনের পর ৪২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় তারা। ৫১ রানের মাথায় সালেহ আহমেদ শাওন লিনডিকে ফেরানোর পর ১৭ রান করা লোহান লরেন্সকে ৫৯ রানের মাথায় ফেরান আরিফুল ইসলাম। একই স্কোরে কার্ল ব্রিটসকে ফেরান সাঈদ সরকার। শেষ ৬ রানে নামিবিয়ার ৫ উইকেটের পতন ঘটে।
বাংলাদেশের হয়ে সালেহ আহমেদ শাওন, আরিফুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।
এক ম্যাচ বাকি রেখেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সুপার লিগ কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সাউথ আফ্রিকাকে ৪৩ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১১৪ রানে হারায় স্বাগতিকরা।