ওমরাহ হজের নামে মানবপাচারের সঙ্গে যেসব হজ এজেন্সি জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা করবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া ওইসব এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করার কথাও জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, প্রয়োজনে আগামীতে মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ওমরাহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ওমরাহ করতে গিয়ে দেশে ফিরে না আসায় মানবপাচারের অভিযোগ এনে গত দেড়মাস ওমরাহ ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব।
কবে থেকে অাবার সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা দেওয়া শুরু করবে এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে। আশা করা যায় খুব শিগগিরই সৌদি দূতাবাস ভিসা দেওয়া শুরু করবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ওমরার নামে মানবপাচারের কাজে যেই জড়িত থাকুক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
ধর্মমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত ৫৬টি এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের পাঠানো ৬ থেকে ৭ হাজার লোক ওমরাহ করতে গিয়ে ফিরে আসেনি। তবে সৌদি সরকার এখনো কোন এজেন্সির নামে অভিযোগ করেনি। ইতোমধ্যে সৌদির আরবের এজেন্সিগুলো ৩/৪টি অভিযোগ বাংলাদেশের জেদ্দার হজ কাউন্সিলর এবং রিয়াদের রাষ্ট্রদূতের পত্রে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়টি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এর ফলে প্রকৃত ওমরাহ পালনকারীদের ওমরা পালন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কোনভাবেই এসব এজেন্সি অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেবে না সরকার।