হকি ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ালেন খাজা রহমত উল্লাহ। তার বদলে নতুন সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আব্দুস সাদেক। আর খেলোয়াড়দের দাবি অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ হতে যাচ্ছে দল বদল।
নির্ধারিত সময়ের আগেই হকি গভর্নিং কমিটির জরুরি বৈঠক। উদ্দেশ্য চলমান হকি সংকটের সমাধান। শেষ পর্যন্ত তা হলো নাটকীয় ভাবেই। নিজের পদ ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরে শুন্য থাকা ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে বহাল হলেন খাজা রহমত উল্লাহ । আর ১৯৮২ সালের পর আবারো হকি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক হলেন বর্তমান কমিটির সহ- সভাপতি আব্দুস সাদেক।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এয়ার মার্শাল আবু এসসার বলেন, আমাদের একটা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ খালি ছিলো। সেই পদে আমরা আমাদের যে জেনারেল সেক্রেটারি আছেন খাজা রহমতুল্লাহ উনাকে আমরা এপয়েন্টমেন্ট দিয়েছি। আর জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে উনার যে পদটা খালি হয়েছে সেখানে আমাদের অনেক সিনিয়র পার্সন সাদেক ভাই, যিনি এর আগেও জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন উনি রাজি হয়েছেন।
ফেডারেশনের দায়িত্ব নিয়েই ঘোষনা দিলেন ডিসেম্বরেই হবে খেলোয়াড়দের দল বদল। হকি ফেডারেশনের নব নিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক বলেন, হকির বৃহত্তম স্বার্থে আমি এই এসাইনমেন্ট গ্রহণ করেছি। আমরা দলবদলের ডেট এনাউন্স করেছি ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বরে। আমরা ক্লাবগুলিকে অনুরোধ করেছি দলবদল সম্পন্ন করতে। সমস্ত প্লেয়ারদের আমি অনুরোধ করবো তারা যেনো আজকের মধ্যেই ক্যাম্পে জয়েন করে।
তবে হকির স্বার্থেই দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ালেন বলে জানিয়েছেন খাজা রহমত উল্লাহ। হকি ফেডারেশনের নব নিযুক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট খাজা রহমত উল্লাহ বলেন, আমার পদটা বড় কথা না, হকিটা বড় কথা। হকি মাঠে নামার বৃহত্তর স্বার্থে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে কোনো প্রেসারের নেই। আমাকে বাধ্য করারও কোন সুযোগ নেই। আমি স্বেচ্ছায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এখন আশা খুব দ্রুতই সাভার বিকেএসপিতে চলমান সাফ গেমসের ক্যাম্পে যোগ দেবেন জাতীয় হকি দলের খেলোয়াড়রা।