ম্যাচজুড়ে সমশক্তির দুদল লড়েছে সমানে-সমান। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে থাকে ড্র। শিরোপা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ওমানকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো এএইচএফ কাপ হকিতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার জেবিকে ফিল্ডে ফাইনালে ওমানকে টাইব্রেকারে (৫-৩) হারিয়েছে বাংলাদেশ।
লাল-সবুজের দল এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবার শিরোপা জেতে ২০০৮ সালে, সিঙ্গাপুরে ওমানকে হারিয়েই। ২০১২ সালে ব্যাংককে ওমানকে হারিয়ে জেতে দ্বিতীয় শিরোপা। তৃতীয়টি আসে ২০১৬ সালে হংকংয়ে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এবার মিলল টানা চতুর্থ শিরোপার উল্লাস।
গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়াকে ৭-২ গোলে উড়িয়ে উড়ন্ত শুরু পেয়েছিলেন জিমি-মিমোরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখে লাল সবুজের দলটি। সিঙ্গাপুরকে গুঁড়িয়ে দেয় ৭-০ ব্যবধানে।
তৃতীয় ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত করে হোসেন সরোয়ারের দল। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ফাইনালের প্রতিপক্ষ ওমানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জেতে ৩-২ গোলে, গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে ওঠে গোবিনাথ কৃষ্ণমূর্তির শিষ্যরা।
গ্রুপপর্বের উড়ন্ত ফর্ম ধরে রেখে সেমিতে কাজাখস্তানকে ৮-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। জিতে ফাইনালের পাশাপাশি মে মাসে হতে চলা হকির এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা বাংলাদেশ রোববার শুরুতে আক্রমণাত্মক খেলেছে। ১৪তম মিনিটে সোহানুর রহমান সবুজের ফিল্ড গোলে প্রথম কোয়ার্টারে লিড পেয়ে যায় লাল-সবুজ দল।
লিড অবশ্য বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে দুর্দান্ত ফ্লিকে বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লবকে বোকা বানিয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান ওমানের আল লাওয়াতি ফাহাদ। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় দ্বিতীয় কোয়ার্টার।
তৃতীয় কোয়ার্টারে কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ পেয়ে আশরাফুলদের রক্ষণ চেপে ধরে ওমান। ৪০তম মিনিটে তাদের আল ফরাজী রাশাদের দুর্দান্ত শট একটুর জন্য জালে জড়ায়নি।
চতুর্থ কোয়ার্টারে আক্রমণের ধার বাড়ায় ওমান। প্রথম মিনিটে লিডও পেয়ে যেতে পারত আল সাদী সালাহর দল। কিন্তু রাশাদের শট বাংলাদেশ গোলরক্ষক বিপ্লবের দেয়াল ভেদ করতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচটি সুযোগই কাজে লাগিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে বিপ্লবের দৃঢ়তায় চতুর্থ শটে গোল করতে ব্যর্থ হয় ওমান। শিরোপার উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ।