বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের পর আবারো চালু হয়েছে অবরুদ্ধ থাকা হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
মঙ্গলবার থেকে বিমানবন্দরটি ফের চালু করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, হংকং সীমান্তে আরো সেনা পাঠাচ্ছে চীন।
গত শুক্রবার থেকেই বিমানবন্দরে অবস্থান নিতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তবে সোমবার এক পর্যায়ে বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। বাতিল করা হয় প্রায় দেড়শ ফ্লাইট।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারো বিক্ষোভ শুরু হলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের ওপর মরিচের গুড়া স্প্রে করে পুলিশ।
সংঘর্ষ চলাকালে বিমানবন্দরের ভেতরে দুই চীনা পুলিশ কর্মকর্তা ও চীনা গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক সাংবাদিককে মারধর ও আটকে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বিমানবন্দরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েনের পর পরিস্থিতি শান্ত হলে পুনরায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু করে।
বিক্ষোভকারীদের ওপর শক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে হংকংকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলে। শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে হংকং কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান তিনি।
মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যমতে, হংকং সীমান্তে চীন আরো সেনা মোতায়েন করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট বার্তায় হংকং পরিস্থিতিকে জটিল উল্লেখ করে সবাইকে শান্ত ও নিরাপদ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে হংকং সরকার প্রধান ক্যারি ল্যাম বিক্ষোভকারীদের সহিংসতার পথ পরিত্যাগের আহ্বান জানান।