চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হংকংয়ের স্বাধীনতায় ট্রাম্পের সহযোগিতা চান বিক্ষোভকারীরা

চীনের কাছ থেকে হংকংকে ‘স্বাধীন করতে’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মার্কিন কনস্যুলেটের সামনে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা।

এসময় আন্দোলনকারীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে, জানালা ভেঙে এবং এমআরটি লাইন উপরে ফেলে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।পরে হংকং পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেতে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে।

রোববার সন্ধ্যায় হংকংয়ের কোজওয়ে বে শপিং জেলায় এ ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

কোজওয়ে বে এর রাস্তায় আন্দোলনকারী অস্কার (২০) বলেন: ‘আমরা এখান থেকে সড়ে যেতে পারছি না কারণ এখানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। তারা স্টেশন থেকে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে। আমরা নর্থ পয়েন্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে সেন্ট্রাল ডিসট্রিক্ট এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।টানা ১৪ সপ্তাহে গড়িয়েছে হংকং-এর চীন বিরোধী বিক্ষোভ। ইতোমধ্যেই এ গণবিক্ষোভ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি চীন সফরে হংকং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বেইজিং-এর প্রতি তাগিদ দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছে হংকং-এর বিক্ষোভকারীরা।

এজন্যই তারা মার্কিন পতাকা উড়িয়ে ও দেশটির জাতীয় সংগীত গেয়ে হংকংকে ‘স্বাধীন’ করার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কামনা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাহায্য চান তারা। সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান মার্কিন কনস্যুলেটে হাজির হয়ে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে শনিবার সারারাত সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পরে রোববার সকাল থেকেই গণতন্ত্রের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও মার্কিন পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন হংকং-এর বিপুল সংখ্যক মানুষ। তারা ‘স্বাধীনতার জন্য লড়াই কর, হংকংয়ের পক্ষে দাঁড়াও’ ‘বেইজিংকে প্রতিরোধ কর, হংকংকে মুক্ত কর’ ইত্যাদি নানা স্লোগান দেয়।

হংকং এর বিষয়টি চীনের মানবিকভাবে দেখা উচিৎ বলে গত মাসে বাণিজ্য চুক্তির আগে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের হংকং বিষয়ক পর্যটন উপদেষ্টাকে সতর্ক করে বলেছে, সেখানে সাম্প্রতিক প্রপাগান্ডার কারণে মার্কিন নাগরিক ও কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। কারণ চীন অভিযোগ করছে, বিশৃঙ্খলায় প্ররোচনা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে হংকংয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম।

তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতা, বৃহত্তর গণতন্ত্র ও চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগের দাবি।