সড়ক যোগাযোগ চুক্তির ফলে বিস্তৃত হবে বাণিজ্য, আর বাণিজ্যের বিস্তৃতি মানেই অর্থনীতির বিস্তৃতি। সড়ক যোগাযোগ চুক্তির ফলে চার দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নতি হবে তা প্রভাব ফেলবে অর্থনীতিতেও। থিম্পুতে সই হওয়া চুক্তিকে এমন ইতিবাচকভাবেই দেখছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি।
চারদেশের সড়ক যোগাযোগ চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াতের কথা তো বলাই আছে চুক্তিতে, পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও চলাচল করা যাবে এই চার দেশের মধ্যে।
‘এর ফলে কিন্তু আমাদের পরিবহন সেবা খাতও অনেক বেশি লাভবান হবে। কেননা অনেক অনেক ট্রান্সপোর্ট প্রয়োজন হবে চার দেশের মধ্যে যাতায়াত বাড়ানোর জন্য,’ চুক্তির এক ভিন্নদিকের কথা এভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, চুক্তি কার্যকর হলে দেশের মানুষ যেমন সহজে তিনটি দেশে ভ্রমণ করতে পারবে, তেমনই তিনটি দেশের মানুষও সহজে আমাদের দেশে আসতে পারবে। তাছাড়া পথটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এতে লাভবান হবে সবাই।
মানুষের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের ফলে বাণিজ্যও বাড়বে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। কিন্তু সেক্ষেত্রে বাজারে টিকে থাকতে হলে নিজেদের প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তুলতে হবে বলে সতর্কও করেছেন তিনি।
ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাইরের দেশের বেশ কিছু পণ্য আমাদের দেশে আসবে, এতে ভোক্তারা হয়তো লাভবান হবে। কিন্তু যদি আমরা আমাদের সেরাটা দিতে না পারি তাহলে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে যাবো। যার প্রভাব আসবে দেশের অর্থনীতিতেও।
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, বিদেশী পণ্য সহজে আসবে বলে সাধারণ মানুষ অনেক কিছুই পাবে বেশ কম দামে।
দেশের বাণিজ্যের প্রসারে বেশ কিছু দিকে বেশি নজর দিতে হবে বলেও জানান ড. মোস্তাফিজ। ‘যদি দেশের অবকাঠামো উন্নত না থাকে, যদি পণ্য পরিবহনে বাইরের দেশগুলোকে অনেক খারাপ পথ পাড়ি দিতে হয়; তাহলে আমদানি-রপ্তানি আরো ক্ষতির সম্মুখীন হবে।’
এক্ষেত্রে অন্য তিনটি দেশকে সীমান্ত অতিক্রমের সময় নানান ঝক্কি, ল্যান্ড কাস্টমস জটিলতা এবং অন্যান্য সমস্যা দূর করতে না পারলে প্রতিযোগিতার বাজার হারাতে হবে বলেও সতর্কবাণী তার।
তাছাড়া চার দেশের মধ্যে যেসব আইন কানুন আছে যেমন, চেকিং সেসব সমন্বিত করার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি নিজেদের অর্থনীতি উন্নত করার জন্য নিজেদের সরবরাহ সক্ষমতার দিকে আরো বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শও তার।