সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে শূন্যের কোটায় নিয়ে যেতে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে সড়কে শৃংখলা আনতে সরকার, মালিক, শ্রমিক, সর্বোপরি যাত্রীদের আরো বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এছাড়া সরকার ঘোষিত ‘নিরাপদ সড়ক চাই দিবস’ এর মাধ্যমে জনগণ আরো বেশি সচেতন হবে বলে তারা মনে করেন।
দেশে বর্তমানে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার সড়ক মহাসড়ক রয়েছে। দিনে দিনে এর পরিমাণ যেমন বাড়ছে তেমনি সড়কে বাড়ছে পরিবহনের চাপ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
গত ১০ বছরে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি বড় সড়ক দুর্ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে সরকার। এর মধ্যে চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে প্রায় অর্ধশত স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু আর মানিকগঞ্জে বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মনিরের মৃত্যু আলোচিত ঘটনা।
বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশে দিনে গড়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়। আর দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার বেশিরভাগই ঘটে পরিবহনের যান্ত্রিক ত্রুটি, চালকের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং এবং ত্রুটিপূর্ণ সড়কের কারনে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে চলতি বছর থেকে ২২ অক্টোবরকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
আসছে ঈদে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কম হয় সে জন্য মালিক, শ্রমিক এবং যাত্রীদের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: