নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ৬ মাস পূরণ হচ্ছে আজ। সড়কে প্রাণহানি কমাতে প্রধানমন্ত্রী ৬টি নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কতটুকু? পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে এক ছাতার নিচে কোম্পানিভিত্তিক বাস রুট ফ্রাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনার কোনো বিকল্প নেই।
প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়কে প্রাণহানি ঘটছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সাত হাজার দুশো একুশজন। আর ৫ হাজার ৫শ ১৪টি দুর্ঘটনায় প্রায় সাড়ে পনের হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এই বাস্তবতায় গত বছর ২৫ জুন মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ৬টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো- গাড়িচালক ও তার সহকারিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। লং ড্রাইভে বিকল্প চালক রাখা, যাতে পাঁচ ঘন্টার বেশি কোনো চালককে একটানা দূরপাল্লায় গাড়ি চালাতে না হয়। নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর সড়কের পাশে সার্ভিস সেন্টার বা বিশ্রামাগার তৈরি করা, অনিয়মিতভাবে রাস্তা পারাপার বন্ধ করা, সড়কে সিগনাল মেনে চলা নিশ্চিত করা এবং জেব্রাক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। চালক ও যাত্রীদের সিটবেল্ট বাধা নিশ্চিত করা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সড়কে প্রাণহানি কমিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় চালকদের সচেতনায় নিবিড় প্রশিক্ষণ জোরদার করা হয়েছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলার জন্য সিগনাল ব্যবস্থা জোরদারের কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে দ্রুত গতির অবকাঠামোতে সমগতির গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২ মেয়াদে সরকার সড়কের শৃঙ্খলায় করণীয় সব জেনেছেন। এখন সময় এসেছে বাস্তবায়নের।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: