বৃহস্পতিবার থেকে পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও বুধবার সারাদেশ ছিলো প্রায় অচল। সড়ক ছিলো অবরোধ। তাই ঢাকা থেকে সড়কপথে কোথাও যাওয়া ছিল মুশকিল। সেজন্য উপায় না পেয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নোয়াখালিতে শুটিং স্পটে হাজির হলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা!
নোয়াখালীর পশুরহাটে চলমান ‘গাঙচিল’ ছবির শুটিংয়ে তিনি আকাশপথে রওনা হয়ে শুটিং স্পটে পৌঁছান। আর এসব ব্যবস্থা করেন ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি এমনটাই জানান।
শুটিং লোকেশন থেকে ছবির পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল বলেন, ‘সড়কপথ অবরোধের কারণে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে নায়িকাকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, পুরো দিনই নায়িকার অংশের শুটিং। সকাল থেকে আমরা তার অপেক্ষায় বসে ছিলাম।
‘এক কাপ চা’ ছবির পরিচালক নেয়ামুল জানান, গত ১৭ তারিখ শুরু করেছি ‘গাঙচিল’-এর শুটিং, চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগে থেকেই শুটিং করছেন ফেরদৌস, তারিক আনাম খান। যোগ দিয়েছেন পূর্ণিমা, আনিসুর রহমান মিলন। আগামী ২৫ তারিখ এখানে শুটিংয়ে অংশ নেবেন কলকাতার ঋতুপর্ণা। শুটিংয়ের এবারের পর্বে সিকোয়েন্সগুলো শেষ করছি।
এবারের পর্বের শুটিংয়ে কিছুটা তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেয়ামুল। তিনি বলেন, ১৯ নভেম্বর রাতে চারটি পিকআপ ও চারটি মাইক্রো ছিল শুটিং স্পটে। সেখান থেকে পিকআপের ব্যাটারি চুরি হয়ে যায়। এতে করে কিছুটা ঝামেলায় পড়ি। তাৎক্ষণিক স্থানীয় প্রেস ক্লাব ও প্রশাসনে জানাই। চেষ্টা করছি সবকিছু কাটিয়ে আসল কাজটা ঠিকভাবে করতে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে ছবটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১৫ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সময় প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল উপন্যাস ‘গাঙচিল’। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইউনিয়নের গাঙচিল চরের নাম থেকেই উপন্যাসের নাম ‘গাঙচিল’ রাখা হয়েছে।
উপন্যাসটি নিয়ে ওবায়দুল কাদের আগেই জানিয়েছেন, এটি কোন কাল্পনিক গল্প নয়। নোয়াখালীর একটি চর ‘গাঙচিল’ কে উপজীব্য করে পুরো উপন্যাসটি লেখা হয়েছে। ওখানকার মানুষের জীবনের নানা বিষয় ‘গাঙচিল’ উপন্যাসে উঠে এসেছে। ওই এলাকার মানুষকে যেভাবে ঝড়, বন্যা আর জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়, সেসব সংগ্রামই উপন্যাসের উঠে এসেছে।