উৎক্ষেপণের ৩৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিট বা স্যাটেলাইটের কক্ষপথে পৌঁছালেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিজস্ব অরবিটাল স্লটে পৌঁছাবে। এছাড়া উৎক্ষেপণের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পরই বঙ্গবন্ধু-১ থেকে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন প্রাথমিক সাড়া পেলেও স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশের গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশনের পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আসতে আরও প্রায় ৩ মাস সময় লাগবে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর গ্রাউন্ড স্টেশনের অপারেশন প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এসব তথ্য তুলে ধরে জানান, এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই, স্যাটেলাইটটি স্বাভাবিক গতিতেই যাচ্ছে। নিজস্ব স্লটে পৌঁছাতে ৭-৯ দিন লাগতে পারে।
এর প্রায় ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের দু’টি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ করা যাবে এই আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।
২ বছর সময় নিয়ে গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনটিকে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ পরিচালনা, সফল ব্যবহার ও বাণিজ্যিক কার্যত্রমের জন্য ইতিমধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কোম্পানিতে কারিগরী লোকবল নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
উৎক্ষেপণ হওয়া ফ্যালকন নাইনের ব্লক ৫ রকেটের স্টেজ-টু বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে পৌঁছে দেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মহাকাশের ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নিজস্ব অরবিটাল স্লটে স্থাপিত হবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ বা অরবিটাল স্লট কেনা হয়।