ক্যারিয়ারের ৮৫তম ম্যাচে এসে নেইল ও’ব্রায়েন পেলেন ওয়ানডের প্রথম সেঞ্চুরি। পনেরোটি ফিফটি থাকলেও নামের পাশে ছিল না শতক। সেটি ছোঁয়ার দিনে অবশ্য জয়ে রাঙাতে পারলেন না এই বাঁহাতি আইরিশ ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের কীর্তিতে ম্লান হয়ে গেছে ও’ব্রায়েনের বীরত্ব। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্যান্টনার ৫ উইকেট নিয়ে কিউইদের ৫১ রানের দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন।
ডাবলিনের মালাহাইডে ২৯০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.৩ ওভারে ২৩৮ রানে অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ড। নিজেদের মাঠে জবাবটা ভালই দিচ্ছিল আইরিশরা। স্যান্টনার নিজের শেষ ওভারে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ও’ব্রায়েনকে (১০৯) সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের কক্ষপথ ঘুরিয়ে দেন। ওই ওভারের পঞ্চম বলে তার পঞ্চম শিকার ব্যারি ম্যাকার্থি। ১০ ওভারে ৫০ রানে ৫ উইকেট বাঁহাতি স্পিনারের। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংও। ২৫ বছর বয়সী স্যান্টনারের আগের সেরা বোলিং ছিল ৩১ রানে ৩ উইকেট।
আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান তোলার পর শুরু হয় বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ ও লুইসমেথড অনুযায়ী ৯ রানে এগিয়ে তখন স্বাগতিকরা। ওখানেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। বৃষ্টিতে প্রায় এক ঘন্টা খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা হয়নি। বৃষ্টির পর ব্যাটিং করা যেন আরো সহজ হয়ে যায় আইরিশদের জন্য। রানরেট ঠিক রেখে লড়াই চালিয়ে যান ও’ব্রায়েন। ইশ সোধিকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১২৪ বলে। ৫টি ছক্কা ও ৯টি চারে সাজানো ইনিংসটি থামে ১০৯ রানে।
ও’ব্রায়েন ছাড়া সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি অন্য ব্যাটসম্যানরা। অ্যান্ডি ব্যালব্রিনের ৩৬ ও গ্যারি উইলসনের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।
স্যান্টনারের পাঁচ উইকেটের দিনে অভিষেক ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার স্কট কুগগেলজিন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইশ সোধি ও সেথ রেনস।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝোড়ো শুরু করে নিউজিল্যান্ড। তবে ইনিংসের মাঝের দিকে রানের গতিতে লাগাম টানতে সমর্থ হন আইরিশ বোলাররা। শেষ দিকে তা আর ধরে রাখতে পারেনি দলটি। নেইল ব্রুম, রস টেইলর ও জর্জ ওয়ার্কারের ফিফটিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান তোলে কিউইরা।
দলীয় ৫৫ রানে দুই ওপেনারকে হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন রস টেইলর ও জর্জ ওয়ার্কার। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর টেইলর বিদায় নিলে ওয়ার্কারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫৫ ও জেমস নিশামকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন নেইল ব্রুম।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুম। ৬৩ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬০ বলে ৫২ রান করেন টেইলর। ওয়ার্কার ৮৯ বলে ৫০ রান করেন।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন টিম মুরতাঘ ও ব্যারি ম্যাক্কার্থি। একটি করে উইকেট পান কেভিন ও’ব্রায়েন ও পিটার চেজ।