দেশা দ্য লিডার, হিরো ৪২০ এই দুই ছবি নির্মাণ করেই আলোচিত হয়েছেন সৈকত নাসির। শুধু তাই নয়, দেশা দ্য লিডার ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার সৈকত নাসির। এই নির্মাতার তৃতীয় ছবি পাষাণ ছবির রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।
চ্যানেল আই অনলাইনকে মঙ্গলবার বিকেলে সৈকত নাসির জানান, পাষাণ ছবিটি এখন সেন্সরে। শিগগির সেন্সর ছাড়পত্র লাভ করবে। আগামী মার্চেই পাষাণ ছবিটি মুক্তি দেয়া হবে।
পাষাণ সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করছেন কলকাতার নায়ক ওম সাহানী ও বাংলাদেশের লাক্সতারকা বিদ্যা সিনহা মিম। ছবিতে ওমকে পেশা খুনির হিসেবে দেখা যাবে, এবং মিমকে দেখা যাবে একজন মজার সাংবাদিকের চরিত্রে। নির্মাতা আশা করছেন, দুই বাংলার এই তারকা জুটির প্রথম ছবিটি দর্শকরা গ্রহণ করবেন।
সৈকত নাসির বলেন, যারা দেশা দ্য লিডার দেখেছেন, যাদের কাছে ওই ছবিটা ভালো লেগেছে তাদের কাছে পাষাণ ভালো লাগবে। পুরো ছবিটাই ভিন্ন ট্রাকের, বলা যেতে পারে ট্রেন্ডি, স্যাড-রোমান্টিক। ছবিতে যে অ্যাকশনগুলো রয়েছে সেগুলো খুব পলিশ। ফার্স্ট লুক ছেড়েছি ওটা দেখে পুরোটা বোঝা যাবে না। ট্রেলার দেখলে দর্শকরা কিছুটা ধারণা পাবেন। সেন্সর ছাড়পত্র পেলেই টিজার-ট্রেলার প্রকাশ করবো।
পাষাণের গল্পের গাঁথুনি খুবই মজবুত। নায়ক ওম ছবিতে পেশাদার ভাড়াটে খুনী থাকে। তার এই খুনি হয়ে ওঠার নেপথ্যে কিছু কারণ থাকে, সেসব বিষয় দেখানো হবে। এছাড়া ছবিতে মিম থাকছে সাংবাদিক হিসেবে। কিন্তু সে সিরিয়াস সাংবাদিক নয়, কমেডিয়ান সাংবাদিক। টোটাল জার্নিটা বেশ মজার-বললেন সৈকত নাসির।
২০১৬ সালে পাষাণ ছবির শুটিং শুরু হয়। এরপর কয়েক দফায় নায়িকা বদলের পর চূড়ান্তভাবে মিমকে ছবির নায়িকা হিসেবে নেয়া হয়। এছাড়া নির্মাণের শুরুতে শোনা গিয়েছিল পাষাণ প্রযোজনা করছে ভিউজুয়ালাইজার মিডিয়া। কিন্তু পরে শোনা যায়, ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম জাজ মাল্টিমিডিয়া।
এ নিয়ে সৈকত নাসির বলেন, ভিউজুয়ালাইজার হচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান। এর নব্বই শতাংশ মালিক জাজ মাল্টিমিডিয়া। প্রথমে ভিউজুয়ালাইজার কথা বলা হলেও কিছু কারণে ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম জাজ করা হয়েছে। এটি দুই দেশের যৌথ প্রযোজনা নয়, সম্পূর্ণ বাংলাদেশের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ছবি।
নানা কারণে ছবিটি মুক্তি দিতে সময় লাগছে প্রায় দুই বছর। এত দেরি হলো কেন, জানতে চাইলে সৈকত নাসির বলেন, গত বছর নভেম্বরে ছবির শুটিং শেষে করেছি। কথা ছিল ডিসেম্বরে সেন্সরে যাবে। তখন কেন সেন্সরে জমা দেয়া হয়নি এটা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্তারা জানেন। হতে পারে, এটা তাদের মুক্তির স্ট্রাটেজি কিংবা মার্কেটিং পলিসি। আমার কাজ আমি শেষ করেছি। চারটি গান রাখবো ভেবেছিলাম, কিন্তু পরে তিনটি গান রেখেছি।
সবশেষে সৈকত নাসির বলেন, একজন পরিচালক হিসেবে আমি দর্শকদের কথা দিতে পারি যে ভালো একটি ছবি উপহার দিতে পারব। এই ছবিতে আমি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছি। আমি মনে করি একটি ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পরিচালকের স্বাধীনতা জরুরি।
পাষাণ ছবিতে ওম-মিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, শিমুল খান, বিপাশা কবির প্রমুখ। ঢাকা, মংলা সমুদ্রবন্দরসহ দেশের বেশকিছু লোকেশনে এই ছবির শুটিং করা হয়েছে। ছবিতে গানের সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ, শওকত আলী ইমন, বেলাল খান।