এই প্রজন্ম তো বটেই। সর্বকালের সেরা যেকোনো দল করতে গেলে ভারত অধিনায়ক কোহলির নাম অনেকেই প্রথম সারিতে রাখতে চাইবেন। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ তা মনে করেন না। আপনার ‘ড্রিম টিমে’ ভারত থেকে কে বা কারা থাকবেন, প্রশ্নের জবাবে অবধারিতভাবে শচীন টেন্ডুলকারের নাম বলেন। তারপর হরভজন সিং। কোহলি নেই!
ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে নিজের সর্বকালের সেরা দল নিয়ে কথা বলেন স্মিথ। সঙ্গে জানিয়ে দেন, কোহলির সঙ্গে তার কোনও ব্যক্তিগত লড়াই নেই।
‘আমি মনে করি বিরাট ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। ভারতীয় দলের জন্য সে যা করেছে তা ব্যতিক্রম। আমি ওই অর্থে ব্যক্তিগত কোনও লড়াই পছন্দ করি না।’
অস্ট্রেলিয়া ভারতে খেলতে আসলে স্পিনের সামনে বরাবর নাকানিচুবানি খায়। একসময় হরভজনকে সামলাতে তাদের দফারফা হয়ে যেত। সেই সব দিনের কথা স্মরণ করেই হয়তো স্মিথ হরভজনকে তার স্বপ্নের দলে রাখতে চাইছেন।
এই যুগে কেউ যদি শচীনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন, তাহলে সেটা কোহলির ব্যাটে আগে হওয়ার কথা। ওয়ানডে, টেস্ট সব জায়গায় তিনি ছুটছেন দুরন্ত গতিতে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওয়ানডেতে ৩০তম শতক হাঁকিয়ে পন্টিংকে ছুঁয়েছেন। তার সামনে কেবল ৪৯টি শতকের মালিক শচীন। ৩০টি শতক করতে পন্টিং খরচ করেছিলেন ৩৪৬ ইনিংস। কোহলির সেখানে লেগেছে ১৮৬ ইনিংস। ২৯টি সেঞ্চুরি করতে শচীনের লেগেছিল ২৬৫ ইনিংস!
পন্টিং মোট ওয়ানডে খেলেছেন ৩৭৫টি। শচীন ৪৬৩টি। কোহলি এত সংখ্যক ম্যাচ খেললে কোথায় নিজেকে দাঁড় করাবেন, সেটা কল্পনা করতে কারো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
টেস্টে কোহলি এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচে ১০১ ইনিংসে ব্যাট করেছেন। তাতে সেঞ্চুরি ১৭টি, অর্ধশতক ৪৪টি। ৬০ টেস্টে মাঠে নামা যেকোনো খেলোয়াড়ের কাছে এই পরিসংখ্যান ঈর্ষনীয়।
সর্বকালের সেরা টেস্ট দল নির্বাচন করতে যেয়ে ‘স্পিন কিং’ শেন ওয়ার্ন এবং কিংবদন্তি স্যার ডোন্যাল্ড ব্রাডম্যানের কথা বলেন স্মিথ। আর ওয়ানডে দলে অস্ট্রেলিয়া থেকে জনসন এবং ‘মি. ক্রিকেট’ নামে পরিচিত মাইক হাসির নাম উল্লেখ করেন।